Daily

বাজেটের আগে আশার আলো জ্বলেছিল পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী মহলে। কিন্তু বাজেট শেষে এখন শুধুই জমল হতাশা। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছোট, বড় সকল সংস্থার মাথায় কার্যত হাত পড়ে গিয়েছে। বাজেটে বাড়ানো হয়েছে ঋণ প্রকল্পের সময়সীমা। যা পর্যটন শিল্পের তেমন কোন কাজে আসবে না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
সূত্রের খবর, পর্যটন শিল্পের ভরাডুবি হয় করোনা কালে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় পর্যটন শিল্পের ব্যবসা কার্যত তলানিতে এসে ঠেকে। দেশের মধ্যে যেমন ঘুরতে যাওয়ার উপর নামে নিষেধাজ্ঞা। তেমনি বিদেশি পর্যটকদের ভারত ভ্রমণ একেবারে থমকে যায়। পর্যটকদের সংখ্যা একেবারে কমে যাওয়ায় ছোট, বড় মাঝারি সকল সংস্থাকেই ব্যপক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ কর্মীর চাকরি চলে যায়। দুটো ঢেউ কাটিয়ে উঠে পর্যটন শিল্প আবারো মাথা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে ওমিক্রনের আতঙ্ক তাড়া করতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলের মনেই বাজেট নিয়ে অনেকটাই আশা ছিল। কিন্তু সেটাও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট পেশের পরে কার্যত তলানিতে গিয়ে পৌঁছল।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এমনিতেই ধুঁকতে থাকা পর্যটন শিল্পকে দাঁড় করানোর জন্য ঋণের বোঝা তারা মাথায় নিয়ে আছে। এরপর যদি আরো ঋণের বোঝা চাপে তাহলে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না। তাই সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সাহায্য আশা করেছিল পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলেই। কিন্তু শেষমেষ সেই প্রত্যাশা পূরণ হল না তাঁদের।
ব্যুরো রিপোর্ট