Market

করোনার দুটি ঢেউয়ের ধাক্কায় বেহাল অবস্থা তৈরি হয় পর্যটন শিল্পে। গোটা দেশ জুড়ে এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বহু মানুষের মনে জন্ম নেয় ঘোর অনিশ্চয়তা। এরপর পর্যটন ব্যবসা আবারো মাথা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে এগিয়ে আসে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর তাতেই কার্যত দিশেহারা পর্যটন সংস্থাগুলি। ক্ষতির বোঝা একের পর এক চাপতে শুরু করলে কিছুটা বাধ্য হয়েই পর্যটন শিল্প আসরে নামে। আর্থিক ত্রাণের আর্জি জানিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে। না হলে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত আবারো যে বহু মানুষ রুজিরুটি হারিয়ে ফেলতে পারেন, সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছে পর্যটন সংস্থাগুলিই।
সূত্রের খবর, পর্যটন সংস্থাগুলি চাইছে তাদের আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুমোদন দিক মোদী সরকার। সংস্থার কর্মীদের অন্তত ৭৫% অনুদানের কথাও তারা জানিয়েছে। এমনিতেই তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে সরকার বিদেশি পর্যটকদের উপরে একগুচ্ছ বিধি নিষেধ আরোপ করে দেয়। যে কারণে পর্যটন শিল্প ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই সংস্থাগুলির দাবি, যে দেশগুলিতে করোনার প্রভাব তেমন একটা ভয়াবহ রূপ নেয়নি, সেই দেশগুলি থেকে আসা পর্যটকদের যদি টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে থাকে এবং ভ্রমণ শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে যদি তাদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তাহলে বিদেশি পর্যটকদের সাত দিনের হোম আইসোলেশনের বিধিতেও আনা হোক শিথিলতা। এখন কেন্দ্রীয় সরকার পর্যটন শিল্পে গতি আনতে এই আর্জি মেনে নিতে আদৌ রাজি হবে নাকি বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে হাল ফেরানোর চেষ্টা করবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে পর্যটন সংস্থাগুলি।
ব্যুরো রিপোর্ট