Market
পুজো আসতে এখনও প্রায় মাস পাঁচ-ছয় দেরি। কিন্তু পুজোর মরশুম ছাড়া আর কোন রাস্তাও নেই পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছে। কারণ ব্যবসার তরী প্রায় ডুবতে বসেছে।
অতিমারির প্রথম পর্যায়ে পর্যটন ব্যবসা হোঁচট খেয়েছিল। দীর্ঘ লকডাউনে তালা পড়ে গেছিল অফিসের দরজায় দরজায়। চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেন এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েক লক্ষ মানুষ। আনলক পর্বে অনেকেই ঘরবন্দির জীবন ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। মেঘ সরিয়ে আশার আলো বেরিয়ে আসে পর্যটন শিল্পে। কিন্তু কে জানত দ্বিতীয় ঢেউ আরও ভয়ানক হতে চলেছে?
সংক্রমণে শীর্ষে পৌঁছে গেছে ভারত। করোনার রাক্ষুসে চেহারা দেখে আবারও লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল ব্যবসার অভিমুখ। গরমের ছুটিকে ব্যবসায়ীরা পাখির চোখ করলেও বর্তমানে তাঁরা হতাশ। ছেড়ে দিয়েছেন আশা। এর ফলে দেশের আর্থিক ক্ষতিও হবে। কারণ জিডিপি’র ৯ শতাংশ আসে এই পর্যটন থেকেই। প্রায় ১৩% কর্মসংস্থান হয় এই ব্যবসার হাত ধরে। কিন্তু সবই পৌঁছে গেছে তলানিতে। বিদেশিদের আসাতেও জারি হচ্ছে বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ক্ষতির মুখে পর্যটন শিল্প। তাই আপাতত পুজো ছাড়া আর কোন উপায় দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের আশা, হয়ত পুজোর সময় আবারও চলতে শুরু করবে পর্যটন ব্যবসার চাকা। যদিও আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে।
ব্যুরো রিপোর্ট