Trending
সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে গণনা। কোথাও ১৩ রাউন্ড, কোথাও আবার ১৪ রাউন্ড পার হয়ে গিয়েছে। ফলাফলের ট্রেন্ডও প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। এখনো পর্যন্ত পাওয়া ট্রেন্ডের বিচারে রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে চলেছে তৃণমূল প্রার্থীরা।
সবথেকে আশ্চর্য ব্যপার, ভবানীপুরের ট্রেন্ড বজায় রেখেই এবারও রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সম্ভাব্য ফলাফল হতে চলেছে ৪-০। মিলে গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবিষ্যৎবাণী। এবারেও চারটি কেন্দ্রে জোড়াফুলের ঘায়ে মূর্ছা গেল পদ্ম।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য কোচবিহারের দিনহাটা কেন্দ্র। এই দিনহাটা কেন্দ্রেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বুথে বিজেপি পরাজিত হয়েছে ২৭৫ ভোটে। আর এই বিষয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন দিনহাটার রেকর্ড মার্জিনে জিততে চলা তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ।
১৩ রাউন্ড শেষ হবার পর এক লক্ষের বেশি ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন গোসাবার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। তিনি বিজেপির থেকে এগিয়ে রয়েছেন ১,১৭,০৩৬ ভোটে। বিজেপির পক্ষে ভোট পড়েছে ১৫৩০৭। তৃণমূলের এই বিশাল ব্যবধান তৈরি করা নিয়ে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন গোসাবার বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানা।
এদিকে শান্তিপুরে একটু দেরিতে হলেও শুরু হয়ে গিয়েছে গণনা। চলছে রাণাঘাট কলেজে। বেলা ১১টা পর্যন্ত পঞ্চম রাউন্ডের গণনা শেষ হলে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী এগিয়ে রয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ভোটে। তবে এখানেও ছড়িয়েছে অশান্তি। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার অভিযোগ তুলেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। গণনা কেন্দ্রের ভিতরে মহুয়া মৈত্র কিভাবে প্রবেশ করলেন তাই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছেন। তবে এই বিষয়ে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে কোচবিহারের দিনহাটায় পাল্টাতে চলেছে ট্র্যাডিশন। ১৯ রাউন্ড শেষে দেড় লক্ষের বেশি ভোটে এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। ভোট গণনায় কয়েক যোজন পিছিয়ে পড়েছে পদ্ম শিবির। দিনহাটায় তৃণমূলের জয় একরকম নিশ্চিত হয়ে যেতেই উল্লাসে ফেটে পড়েছেন তৃণমূল সমর্থকরা।
এদিকে চার কেন্দ্রের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র খড়দহে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা এবং এই কেন্দ্রের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে শোভনদেব এগিয়ে রয়েছেন ৩৬ হাজারেও বেশি ভোটে। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম। তিন নম্বরে নেমে এসেছে বিজেপি।
তবে এর মধ্যে উদয়ন গুহ’র উত্থান নজর কাড়ার মত। গতবার এই কেন্দ্রেই ৫৭ ভোটে হারতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু এইবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৃণমূল বাড়াচ্ছে ব্যবধান। বর্তমানে ভোট গণনার যে ছবিটা স্পষ্ট হচ্ছে, তাতে পরিষ্কার এই চার কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা নেমে পড়েছেন রাস্তায়। কোথাও চলছে মিষ্টি খাওয়ানো। কোথাও উল্লাসে বেরিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সবমিলিয়ে আবারো অস্তাচলে যেতে চলেছে বিজেপি।
দেবাশীষ বিশ্বাস, রনি চ্যাটার্জী, দীপান্বিতা দাস, অঙ্কিত মুখার্জী
দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা, খড়দহ