Daily
বি পি এন ডেস্ক: আগামীকাল রাজ্যে তৃতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচন। তিন জেলার ৩১ আসনে চলবে টি-২০ ম্যাচ। তৃতীয় পর্যায়ে দক্ষিণবঙ্গে একদিকে যেমন নিজেদের আসন ধরে রাখতে মরিয়া শাসক তৃণমূল, অন্যদিকে পদ্ম শিবিরও সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূলের ঝুলি থেকে নিজেদের ঝুলিতে আসন ঘরে তোলার লক্ষ্য নিয়ে। এদিকে কমিশনও দ্বিতীয় দফার থেকে শিক্ষা নিয়ে এই পর্যায়ে কোমর বেঁধে নেমেছে মসৃণ ভোট করার লক্ষ্যে।
হাওড়া, হুগলী, দঃ ২৪ পরগণার মোট ৩১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে জোর নির্বাচনী লড়াই হতে চলেছে তৃণমূল, বিজেপি এবং সংযুক্ত মোর্চার মধ্যে। নির্বাচনী প্রস্তুতিও এখন তুঙ্গে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনী উত্তাপের আঁচ পেয়ে ইতিমধ্যেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশায় কমিশন বহাল করেছে ৭০৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যার মধ্যে শুধু দঃ ২৪ পরগণাতেই ৫,৫৪৪ টি বুথে ৩৯৬ কোম্পানি মোতায়েন করেছে কমিশন। এবারে হুগলীর ধনেখালির পাশাপাশি তারকেশ্বর, আমতা সহ অন্যান্য কেন্দ্রগুলি হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কারণ একদিকে লকেট, স্বপন দাশগুপ্তদের ভাগ্য যেমন পরীক্ষা হবে অন্যদিকে দঃ ২৪ পরগণার বিভিন্ন কেন্দ্রে অভিষেক গড়ে গেরুয়া শিবির আদৌ দাঁত ফোটাতে পারে কিনা সেটাই এখন বিশ্লেষকদের জোর জল্পনার বিষয়। হেভিওয়েট প্রার্থী থাকার জন্য অশান্তির আবহাওয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে এই আশঙ্কায় কেবল হাওড়া এবং হুগলী বিধানসভা নির্বাচনের ৫১২০টি বুথে থাকছে ২৯৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এই দফার নির্বাচনে ২০৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৩ জনের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স রয়েছে কোটি টাকার ওপরে। যার মধ্যে তৃণমূলের ১৭ জন, এবং বিজেপির ৮ জন। তবে কোটিপতিদের তালিকায় একেবারে ওপরের সারিতে রয়েছেন নির্দল প্রার্থী শামসুল হুদা লস্কর।
২০১৬-সালের ফলাফল অনুযায়ী এই ৩১টি আসনের মধ্যে ২৯টিই রয়েছে শাসক তৃণমূলের দখলে। বাকি দুটি আসনের মধ্যে একটি সিপিআইএম এবং একটি কংগ্রেসের দখলে। কিন্তু এবারের নির্বাচনী উত্তাপ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে শাসক তৃণমূলের মূল লক্ষ্য তৃতীয় পর্যায়ে এসে গড় ধরে রাখার পাশাপাশি ভোটের হার ধরে রাখা। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের পাখির চোখ বিগত তিন বছরে রাজ্যে যেভাবে ভোটের হার গেরুয়া পালে হাওয়া তুলেছে সেই হাওয়ায় ভর দিয়ে কিছু আসন ঘাসফুল শিবির থেকে ছিনিয়ে নেওয়া।
যদিও আগামীকালের তৃতীয় দফায় এই কেন্দ্রগুলিতে কোন ফুল বেশি ফুটবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২ মে পর্যন্ত।