Daily

আসছে ঘূর্ণিঝড় জিওয়াদ। দক্ষিণ থাইল্যান্ড উপকূলে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অবস্থান করবে এবং পরবর্তীতে শক্তি বাড়িয়ে ৪ ডিসেম্বর আছরে পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলে। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের রেশ আসবে বাংলার বুকেও। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলা অর্থাৎ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলী, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ সহ দুই মেদিনীপুর জেলায় বজ্র বিদ্যুৎসহ ভারি বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারী করলো পশ্চিমবঙ্গ কৃষি দপ্তর।
এমনিতেই আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় এবছর যথেষ্ট ভুগেছেন চাষিভাইরা। তাদের দুর্ভোগ যাতে কমে, তাই আগাম বেশ কিছু পরামর্শ দিল কৃষি বিভাগ।
১। চাষি ভাইরা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাঠের পাকা ধান কেটে তা গুদামজাত করে ফেলুন।
২। আলু বোনার পরিকল্পনা থাকলে তা আপাতত ৭ দিনের জন্য পিছিয়ে দিন।
৩। আলু আর সরিষার জমিতে জমা জল নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা করুন। আর প্রয়োজন হলে দুর্যোগ কেটে গেলে জমিতে ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে পারেন।
৪। প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে বাঁচতে সবজির মাচা বা পানের বরজকে শক্ত করে বেঁধে রাখুন।
৫। যে সমস্ত সবজি ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে যেমন ধরুন কলা, পেঁপে, ইত্যাদি সেগুলিকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করুন এখুনই।
উপরিউক্ত পরামর্শ আপনাদের জন্য। ফসল বাঁচাতে সজাগ থাকুন। ব্যবস্থা নিন। প্রয়োজনে নিকটবর্তী কৃষি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্যুরো রিপোর্ট