Story

কম পরিশ্রমে লাভজনক ব্যবসার ক্ষেত্রে শূকর প্রতিপালন কৃষকদের অন্যতম পছন্দের। কারণ অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণীর তুলনায় শূকরই তাড়াতাড়ি সংখ্যায় বাড়ে এবং ওজনেও বাড়ে। শূকর প্রতিপালনে খরচের পরিমান বেশ কম | তাছাড়াও, ১০টি শুকরী ও ১ টি শূকর পালন করলে বছরে প্রায় ১৬০টি বাচ্চা পাওয়া যায়। বর্তমান বাজারে, শূকরের চাহিদাও বেশ ভালো।
আসুন জেনে নেওয়া যাক শূকর প্রতিপালনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস
শূকর প্রতিপালনে প্রয়োজন সুষম খাদ্যের। প্রতি কেজি ওজন বাড়ার জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩-৪ কেজি সুষম খাদ্য। এরা সিদ্ধ তরিতরকারি, মূল জাতীয় ফসল, কুমড়ো-শাকসবজি খেতে ভালোবাসে। এছাড়া ফেলে দেওয়া জিনিস, মাছ-মাংসের উচ্ছিষ্ট , চালডাল, গুটি পোকার বীজ, দুধ, মাখন, ছানার জল ইত্যাদিও খেয়ে থাকে।
শূকরদেরর জন্য স্বল্প খরচে মজবুত ও আরামদায়ক ঘর তৈরি করতে হয়। ঘরের নীচের ৩ থেকে ৫ ইঞ্চি দেওয়াল দেওয়ার পর বাকিটা জাল দিয়ে ঘিরতে হবে। ছাদে টালি বা খড় দিতে হবে। ঘরের মেঝে যেন শুকনো থাকে এবং গর্ত না থাকে। প্রজননক্ষম শুকরের জন্য ৪০-৫০ বর্গ ফুট থাকার জায়গা প্রয়োজন।
গাভিন শূকরীকে প্রসবের ১৫ দিন আগে থেকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে। দেখতে হবে যেন অন্য কোনো শূকর যেন ঐ ঘরে প্রবেশ করতে না পারে। ঘরে বিচালি ও শুকনো ঘাস ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রসবের ২-৩ দিন আগে থেকে শূকরীকে নরম বা ভেজা খাবার এবং অন্তত ২ কেজি নরম ঘাস খেতে দিতে হবে।
৪০ কেজি ওজনের প্রতিটি শূকরের জন্য দৈনিক ২-৬ লিটার জলের দরকার হয়। খাবার দেবার জন্য সিমেন্ট দিয়ে পাত্র তৈরি করতে হবে। বড়োদের জন্য মেঝে থেকে খাদ্যপাত্রের উচ্চতা থাকবে ৯ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৫ ইঞ্চি।
জন্মের পর বাচ্চাদের ৩-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত দুধ খাওয়াতে হবে। ১৫ দিন বয়স হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের সুষম খাদ্য খাওয়ানো অভ্যাস করতে হবে। খাবার পাত্রের কাছাকাছি শীতল জলের পাত্র সবসময় রাখা আবশ্যক।
ব্যুরো রিপোর্ট