Trending
বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। আবারও ভিডিও অ্যাপের প্ল্যাটফর্মে নিজেদের ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা। এবার সটান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। আর এখানেই নিজের দাপট দেখাতে চাইছে টিকটক। তার জন্য যদি দফায় দফায় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতেও হয়, তাতেও কোন কার্পণ্য করবে না টিকটক। সূত্রের খবর, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বিলিয়ন ডলারের এই বিনিয়োগ করতে চাইছে এই জনপ্রিয় সংস্থা।
টিকটকের সিইও শাউ জি চিউ জানিয়েছেন, সংস্থাটি এবার নির্দিষ্ট ওয়েতে বিনিয়োগ করবে বলে ঠিক করা হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় টিকটক এভাবেই নিজের আধিপত্য দেখাতে চাইছে। সত্যি বলতে কী, টিকটক কিভাবে নিজেকে রিভাইভ করতে চায় সেটা এখান থেকে পরিষ্কার। সংস্থার মাথারা বলছেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে টিকটকের। টিকটকের এই বিনিয়োগের বিষয়টা আরও স্পষ্ট করা হয়েছে জাকার্তা থেকে। এখানেই জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, ইন্দোনেশিয়ায় টিকটক নিজের ই-কমার্স আর্মকে আরও ছড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে। এর ফলে সুবিধা কী হবে টিকটক ব্যবহারকারীদের? তারা যখন স্ক্রল করবে, সেই স্ক্রলিং-এর সময় যে একের পর এক শর্ট ভিডিও দেখতে পাবে, অথবা কোন লাইভস্ট্রিম ভিডিও দেখা যাবে, তার মধ্যেই থাকবে পণ্য কেনার সুযোগ।
বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়াতে টিকটক শপের মাধ্যমে পণ্য বেচাকেনার অঙ্কটা ছাপিয়ে গিয়েছে ২.৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেটা হয়েছে গত বছর। আর ২০২৩ মানে চলতি বছরে প্রথম তিন মাস এই অঙ্কটা ছিল ১ বিলিয়ন ডলার মতন। এমনটাই জানাচ্ছে, ই-কমার্স রিসার্চ ফার্ম কিউব এশিয়া। ই-কমার্স ব্যবসায় আসার পর এবার নিজেদের ছড়ি ঘোরানোর বিষয়টা টিকটক আরও বেশি মাত্রায় করতে চাইছে। তাদের সামনে প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে এখন দুই- অ্যামাজন.কম এবং Sea’s Shoppe
এখন চৈনিক সংস্থা টিকটক নিজের ব্যবসাকে গ্লোবাল ই-কমার্স ব্যবসার কাছে নিয়ে যেতে চায়। তার জন্য চলতি বছরে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে টিকটক। একইসঙ্গে অবশ্য আমেরিকা এবং ইউরোপে ভালোরকম বাজার ধরার লক্ষ্য নিয়েই এগোতে চাইছে সংস্থাটি। সুতরাং ব্লুমবার্গের রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার, আজ টিকটক যেভাবে নিজের ব্যবসাকে ক্রমশ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে, তা একদিক থেকে সংস্থাকে ইকোনমিক গ্রোথের জন্য অনেকটাই অক্সিজেন দেবে। কিন্তু ভারতে?
আপাতত সেগুড়ে বালি। কারণ ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভারতের কাছে টিকটক কখনোই নতুন করে নিজের ব্যবসা ছড়ানোর জন্য পদক্ষেপ ফেলতে পারবে না। যদিও ভারতের মত দেশের সুবিশাল বাজার ধরার লক্ষ্য তাদের ছিল। তাই আপাতত ভারতকে তালিকা থেকে বাদ রাখতে হয়েছে। বরং ইন্দোনেশিয়ায় সংস্থাটি নিজের উদীয়মান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের দিকে তাকিয়ে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করতে ভরসা পাচ্ছে তারা।
বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ