Agriculture news
সব্জির ফলন কম হলে ক্রেতাদের বিপদ। আবার বেশি হলে বিপদ চাষিভাইদের। অর্থনীতি এবং কৃষিকাজের জোরালো কানেকশন ভিরমি খাওয়াতে পারে যে-কাউকে। অতএব, শাঁখের করাত দু’তরফেই। আর এক্ষেত্রে খলনায়ক কে জানেন- আবহাওয়া। আজ্ঞে ঠিকই বলছি। আবহাওয়ার মতিগতি বোঝা মুশকিল। যে কারণে চাষীভাইদের দাম কেমন যাবে, একইসঙ্গে বাজার করতে আসা ক্রেতাদের একটা সবজি কিনতে গেলে, কত টাকা খরচ করতে হবে এই সবই আবহাওয়া যেন নির্ধারণ করে দেয়। বিষয়টা আরেকটু পরিষ্কার হবে, যদি আপনি নজর দেন উত্তর দিনাজপুরের ব্লকগুলোয়।
শীত মানেই হরেক রকম সব্জি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, বেগুন, পিঁয়াজকলি…বাজারে গেলেই উপচে পড়ছে আনাজ। টাটকা সব্জির পসরা বসিয়ে থাকা বিক্রেতাদের থেকে কম দামে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটছে। কিন্তু ফলন তৈরির কারিগরদের মুখে হাসি নেই। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ এবং হেমতাবাদ ব্লকের চাষিদের মুখ ভার। তার কারণ, অনুকূল পরিবেশ থাকার কারণে এত ভালো আনাজের ফলন হয়েছে, যে সেটাই যেন কিছুটা কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে চাষিদের কাছে। ফলনে রেকর্ড হোক। কিন্তু চাষিদের হাতে টাকা নেই। আনাজ প্রতি কম দাম পাচ্ছেন তাঁরা। সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে চাষিভাইদের কেউ কেউ দায় চাপিয়ে দিয়েছেন সটান আবহাওয়ার ওপরেই।
তবে আবহাওয়া কি একমাত্র কারণ? মনে হয় না। কারণ আমরা সবাই জানি, চাষের জমি থেকে বাজারে ফসল পৌঁছনো পর্যন্ত মাঝে কয়েক হাত ঘোরে। আর এই হাত ঘোরার কারণে সব্জি বিক্রি হচ্ছে একটু বেশি দামে খোলা বাজারে। সুতরাং কৃষকরা যদি এখন নিজেরাই খুচরো হিসেবে বিক্রি করেন, তাহলে লাভবান হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। বিষয়টা ব্যাখ্যা করলেন জেলার উপ কৃষি-অধিকর্তা ডঃ সফিকুল ইসলাম। বিষয়টি সম্বন্ধে বিস্তারিত জনতে ওপরে ভিডিও টি ক্লিক করুন।
ধানের ক্ষেত্রে কৃষকরা একটা সাপোর্ট প্রাইস পেয়ে থাকেন। কিন্তু অন্যান্য সব্জির ক্ষেত্রে সেই সাপোর্ট প্রাইস তাঁরা পান না। ফলে তাঁদের নির্ভর করতে হয় বাজারের ওপরেই। চাষের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই, আজ কৃষকরা ভালো ফলনের মুখ দেখলেও সমস্যায় জর্জরিত তাঁরা। আর যে-কারণে কৃষকদের এই সমস্যার একটা নিদান হতে পারে, তাঁরা যদি সটান বাজারে এসে বিক্রি করতে পারতেন…এই বিষয়ে আপনার কি মতামত?
অনুপ জয়সোয়াল
উত্তর দিনাজপুর