Market

মহামারীর বছরগুলো এসেছে, প্রলয় ঘটিয়েছে, আর অবশেষে মূল্যবৃদ্ধিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর প্রতিবারই অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একের পর ভবিষ্যৎবাণী করেছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ২০২২-এও তার অন্যথা হয়নি। বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যৎবাণী বলেছিল, ২০২২ অক্সিজেন জোগাবে শিল্পখাতে। বাড়বে চাহিদা। আর এই চাহিদার উপর ভর করেই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি।
চলতি অর্থবছরে অর্থনীতির পালে উন্নয়নের হাওয়া আসবে বলেই মনে করছিলেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। তবে এবারেও হয়তো আশাহত হতে পারে দেশের অর্থনীতি। ধাক্কা খেতে পারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। ২০২২ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা তা হয়তো নিমেষের মধ্যে ভুল প্রমাণিত হতে পারে। বিশ্বের অর্থনৈতিক আবহাওয়া আসলে চরম অশান্ত। আর তার কারণ হলো ওমিক্রন। ইচ্ছে না থাকলেও উপায় খুঁজতে হয়তো ফের লকডাউনের ডাক পড়তে পারে। এছাড়াও চিনের অর্থনীতিতে মন্দা, ইউরো মুদ্রা নিয়ে নতুন সংকট, খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং পশ্চিম এশিয়ায় অশান্তির ফলে ব্যাহত হতে পারে ব্যবসা-বাণিজ্য।
অর্থনীতিবিদদের একাংশ বলছেন, কোভিডের কোনও সংক্রামক ভ্যারিয়ান্ট এলে ফের বড় ধাক্কা খাবে অর্থনীতি। আগামী বছরে সম্ভবত কমবে চাহিদা। কমবে সরবরাহ। ফলে চাকরির বাজারে ছেয়ে যাবে অমাবস্যা। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের শুরুতে মুদ্রাস্ফীতি দুই শতাংশে বেঁধে রাখার কথা ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। বাস্তবে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে সাত শতাংশের কাছাকাছি। অনেকে আবার বলছেন, আগামী বছরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। দূষণের জন্য বৃদ্ধি পাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। খাদ্যের দাম আরও বাড়বে। কোভিডের আরও একটি ওয়েভ পর্যটন শিল্পের ক্ষতি করবে। ফলে ফের মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বিশ্ব অর্থনীতি।
ব্যুরো রিপোর্ট