Daily

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন ২০২১-২২ অর্থবর্ষ। ঋণাত্মক অর্থনীতির গ্রাফকে টেনে তুলতে বদ্ধপরিকর প্রতিবেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাবসায়িরা। তবে করোনা কালে বন্ধ বেশীরভাগ দোকান বাজার। যদিও খোলা রয়েছে শিল্প কল-কারখানা। করোনার ঢেউ একের পর এক আসছে, সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, আবার চলেও যাচ্ছে। শুধু থমকে যাচ্ছে অর্থনীতির চাকা। কবে ঘুরে দাঁড়াবে কেউ জানেনা, আদৌ ঘুরে দাঁড়াবে কিনা তাও অনিশ্চিত।
একের পর এক করোনার ঢেউ স্থবিরতা এনেছে বাণিজ্যে। পরিসংখ্যান বলছে করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা ঘোরা বেশ চাপের। এদিকে নতুন অর্থবর্ষের নয়া নিয়মে কার্যত রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ৫০-৬০% মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হলে তবেই ঘুরতে পারে অর্থনীতির চাকা, দাবি বিশেষজ্ঞদের। নয়তো আরও বড় দুর্দিন দেখতে হতে পারে বাংলাদেশবাসীকে। বন্ধ হয়ে যাবে ব্যাবসা বাণিজ্যও। তলানিতে ঠেকবে অর্থনীতির গ্রাফ। এমন পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকারের আরও নমনীয় হওয়া উচিৎ ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু বাজেটে তার ছিটেফোঁটা ছবিও ধরা পরেনি।
তবে এত অন্ধকারেও আশার আলো দেখাচ্ছে রপ্তানি ক্ষেত্র। চালু রয়েছে পোশাক শিল্প, সরকারি সহযোগিতায় ধীরে ধীরে খুলছে রপ্তানি বাজার। এমন পরিস্থিতিতে করোনা বিধি মেনে যদি পোশাকের উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া যায় তবে অর্থনীতি যে খানিকটা স্বস্তিদায়ক জায়গায় থাকবে তা বলাই যায়।
ব্যুরো রিপোর্ট