Daily

দেওয়ালে ঠেকলে পীঠ, লড়াই জীবন। কিন্তু লড়াই করবেন কি নিয়ে? এতদিন যতটুকু টিমটিমে আলো জ্বলছিল লণ্ঠন ব্যবসায়ীদের ঘরে, আজ করোনার ফুঁ তে সেটুকুও গেছে নিভে। তবে উপায়? কিভাবে বাঁচাবেন বাপ-ঠাকুরদার আমলের এই ব্যবসাকে?
শহর-গঞ্জ-ক্ষেত-খামার পেরিয়ে একদিন যে শিল্পীরা আলো জ্বালত প্রত্যেকের ঘরে, আজ তাদের ঘরেই অসহায়তার অন্ধকার। মহাজনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে এনে লণ্ঠন বানালেও, চাহিদা নেই মার্কেটে। কেউ হয়তো ন্যায্য মূল্যটুকুও পান না। দেশ পেরিয়ে বিদেশেও যায় না বাংলার এই কুটির শিল্প। সমস্যায় পড়েছেন বাঁকুড়ার মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরের লণ্ঠন তৈরির কারিগররা, ব্যবসায়ীরা।
এগিয়েছে সময়, ফুরিয়েছে প্রয়োজন। ঘর সাজানোর জন্যেও লণ্ঠন কিনতে ভিড় করে না কেউই। যে লণ্ঠনে, এই কিছুদিন আগেও সাজতো, পুজো মন্ডপ থেকে শুরু করে ঠাকুর দালান, আজ বাংলার সেই কুটির শিল্পই বন্ধ হওয়ার মুখে।
ব্যুরো রিপোর্ট