Daily

জমেছে ধুলোর পাহাড়। আর হারিয়ে গিয়েছে হরপ্পা, মহেঞ্জোদর কিংবা সিন্ধু সভ্যতার মত এক একটা মাইলস্টোন। হ্যাঁ! ইতিহাসের বইতে আছে ঠিকই, কিন্তু প্রতিটা তথ্যই কি সঠিক ভাবে দেওয়া রয়েছে? কখনোই না। তবে, এবার থেকে থাকবে। আমাদের আগামী প্রজন্ম কিংবা যদি কোনো ভিন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকে, তারা আজকের সভ্যতার প্রতিটা আপডেট পাবেন। এক্কেবারে অক্ষরে অক্ষরে।
এই অসম্ভবকে সম্ভব করবে অবিনশ্বর যন্ত্র। নাম, ব্ল্যাক বক্স অফ আর্থ। মেকানিসমটা অনেকটা বিমানের ব্ল্যাক বক্সের মত। বিমান দুর্ঘটনার আগে যেভাবে যাবতীয় রেকর্ড ক্যাপচার করে বিমানের ব্ল্যাক বক্স, ঠিক সেভাবেই ধ্বংসের মুখে এগোতে থাকা পৃথিবীর সভ্যতার প্রতিটা মুহূর্তের রেকর্ড রাখবে এই যন্ত্র। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে পুরু ইস্পাতের তৈরি এই যন্ত্র। আগামী বছরের গোড়ার দিকেই অস্ট্রেলিয়ার টাসমানিয়ার কোনও এক দুর্গম জায়গায় বসানো হবে সেই বিশাল আকারের ব্ল্যাক বক্স, জানালো ব্ল্যাক বক্স ওয়েবসাইট।
প্রতিটা পাপের হিসেব যেমন তোলা থাকে চিত্রগুপ্তের খাতায়, ঠিক তেমনি এই যন্ত্রও ধরে রাখবে সমস্ত তথ্য। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে জলবায়ু পরিবর্তনের এই ঝড়ের গতিতে লাগাম পড়ানোর জন্য বিজ্ঞানীদের এই কঠিন প্রচেষ্টা থেকে শুরু করে এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বাঁধ সাধা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ক্রিয়াকলাপ, প্রতি মুহূর্তের ফুটেজ রিয়েল টাইমে ধরা থাকছে এই অবিনশ্বর যন্ত্রের কাছে। কাকপক্ষী টের পাওয়ার আগেই সৌরশক্তিতে চলা এই হার্ড ড্রাইভগুলি কাজ করা শুরু করেও দিয়েছে।
পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্সটি বানানো হয়েছে অনেকটা ডুম্সডে ভল্ট এর কায়দায়। যেখানে পৃথিবীর অন্তিম মুহূর্তের জন্য বানানো হয়েছে দুর্গ, সঞ্চয় করা হচ্ছে শস্য। যেনো পৃথিবী ধ্বংসের মুখে এগিয়ে গেলেও একাংশ মানুষকে অনাহার থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা থাকছে।
ব্যুরো রিপোর্ট