Daily

দেশ তথা বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ওমিক্রনের হানা। যার জেরে রীতিমত ধুঁকছে দালাল স্ট্রিট। অস্বস্তি বহাল স্টক মার্কেটে। সূচকের নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত দালাল স্ট্রীটে। বেশ কয়েকদিন ধরে ভাঙন ধরেছে বাজারের বড়ো শেয়ারগুলিতে। যে কারণে ব্যাপক চাপের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ছোট ও মাঝারি শেয়ারগুলো। সোমবার বাজার খুলতেই সূচকের সেই নিম্নবাহিকতাই নজরে আসলো।
এক ধাক্কায় প্রায় ১৩৩০ পয়েন্ট পতন হলো সূচকে। সূচকের পতনের জেরে সেনসেক্স পৌঁছয় ৫৫,৬৮১- এর কোঠায়। সেনসেক্সের পাশাপাশি নিফটিও পড়ে ৪০৩ পয়েন্ট। পৌঁছয় ১৬,৫৮২ অঙ্কের ঘরে। ইউরোপের তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কার্যত চাপে রেখেছে বিশ্ব বাজারকে। যার আঁচ পড়েছে দেশীয় শেয়ার বাজারে। সপ্তাহের প্রথম দিনেই শেয়ার সূচক ও তেলের মূল্যে পতনের পিছনে দায়ী ওমিক্রন সংক্রমণই। অভিমত বাজার বিশেষজ্ঞদের।
২০ মাস বাদে এই প্রথম বেজিংয়ে ঋণে সুদের হার হ্রাস করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারের ক্ষেত্রে বেজিং কিছুটা আশার আলো দেখালেও চিন ও জাপানের শেয়ার বাজারে যথাক্রমে ০.৪ শতাংশ ও ০.৮ শতাংশ পতন হয়েছে। দেশীয় বাজারে নিফটির হিসাবে হিরো মোটরকর্প, বাজাজ ফিন্যান্স, টাটা স্টিল সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেনসেক্সের ব্যাপক ধসের পতনের জেরে চরম ক্ষতির মুখে ইন্ডাসল্যান্ড, টাটা স্টিল ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শেয়ার।
নতুন বছর শুরুর আগে বড়োসড়ো চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্ব অর্থনীতি। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ভারতীয় বাজারে। তবে এই সময়টাকে সুযোগ হিসাবেই ব্যবহার করতে বলছেন বিনিয়োগ পরামর্শদাতারা।
ব্যুরো রিপোর্ট