Daily
বাংলার আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে মাছ চাষের ভূমিকা অপরিসীম। যেখানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করতে এবার বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে নজির গড়ল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নং ব্লকের দেউলবাড় গ্রাম। আতমা প্রকল্পের সহায়তায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে উদ্যোগী হন এই গ্রামের গ্রামমঙ্গল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীবৃন্দ।
কৃষি দপ্তরের সহায়তায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুটি বায়োফ্লক চেম্বার দেওয়া হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। যার একটিতে ট্যাংরা মাছের চারা এবং অন্যটিতে পাবদা মাছের চারা দেওয়া হয়। এদিন ট্যাংরা মাছের হারভেস্টিং প্রক্রিয়া হয়। যেখান থেকে প্রায় ১৬-১৭ কেজি ট্যাংরা মাছ পাওয়া যায়। যদিও পাবদা মাছ চাষ এখনও চলছে। আগামীদিনে যাতে এই প্রকল্প আরও সফলতা পায় সেই বিষয়ে নজর রাখবেন বলে জানালেন জেলার কৃষি আধিকারিক ড. মৃণাল কান্তি বেরা।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে চাষ করা ট্যাংরা মাছের ওজন এবং সাইজ দেখে যথেষ্ট খুশি কৃষি অধিকর্তারা। তারা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সমস্তটা পরিদর্শন করেন। জলের কোয়ালিটি চেকিং থেকে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সমস্তটা দেখেন তারা। আর এর বাজারমূল্য নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী তারা। উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে মাছ চাষের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করার উদ্দেশ্যে আজ তারা অনেকটাই সফল।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে একটা প্রাথমিক খরচ থাকলেও উৎপাদনের হার অনেক বেশি। মাছের চারা এবং খাবার সবটাই দেওয়া হয় কৃষি দপ্তর তরফে, একেবারে বিনামূল্যে। আর প্রায় ৬-৭ মাস পর মাছ হারভেস্ট করছেন তারা। এলাকায় ৩০০- ৪০০ টাকা মত রেটে বিক্রিও করতে পারছেন তারা। ভবিষ্যতে যে এই পদ্ধতি লাভের মুখ দেখবেন, সেবিষয়েও নিশ্চিত কৃষি অধিকর্তারা।
মাছ চাষ ভিত্তিক এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে দিশা দেখাচ্ছে পটাশপুর এলাকা। এখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রচার বাড়াতে উদ্যোগী, কৃষি দপ্তর।