Trending

মোদী আমেরিকা সফরে গেছেন। তারপরেই কার্যত শেয়ার বাজারে হইচই। বহু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের শেয়ার মার্কেট এবার হইহই করে দৌড়বে। দেশের বাজারে বিনিয়োগ আসবে ভালোরকম। এবার বিনিয়োগকারীদের আশা-ভরসার পারদ আরও চড়িয়ে দিল মোদী-মাস্ক সাক্ষাৎ। মার্কিন মুলুকে পৌঁছতেই মাস্কের সশরীরে উষ্ণ অভ্যর্থনা। তাহলে কী সত্যিই ভারতে পা রাখছে টেসলা?
আপনাদের খেয়াল আছে কিনা জানি না। মাঝে একবার টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক হঠাৎ টুইটারের অনেককেই আনফলো করতে শুরু করেছিলেন। যা দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়, টুইটার কর্তার এমন ব্যবহার কেন? তবে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হল যে, মাস্ক কিন্তু সেই সময় অনেককে আনফলো করলেও মোদী সেই লিস্ট থেকে বাদ ছিলেন। আজকের আমেরিকা সফর যেন সেই কথাটাই আরেকবার ঝালিয়ে নিতে সাহায্য করল। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতের বাজার চিনের থেকেও লোভনীয়। সেটা মাস্ক থেকে শুরু করে বিশ্বের তাবড় বিনিয়োগকারীরাও বোঝেন। তবে টেসলার গাড়ি ম্যানুফ্যাকচারিং কবে হবে, সেই নিয়ে গড়িমসি চলছিলই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোদী মার্কিন সফরে গিয়ে গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দিলেন। আপাতত যা জানা গেল, ভারতে বিনিয়োগ করতে যথেষ্ট আগ্রহী টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক।
মোদী ৩ দিনের যে সফর করছেন, তা ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের পথটা আরও চওড়া করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন হত্তা-কত্তা-বিধাতাদের সঙ্গে বসে একপ্রস্থ বৈঠক সারার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেই তালিকায় ছিলেন টেসলা এবং স্টারলিংক কর্তা এলন মাস্ক। মোদীর সঙ্গে দেখা হয়। প্রচুর কথা হয়। ইলন মাস্কের মুখে শোনা যায় ভরপুর মোদী স্তুতি। তারপরেই টেসলা কর্তা ভারতের কথা তোলেন। তাঁর কথা ধরলে এটাই বোঝা যায় যে, ভারত বর্তমানে বিশ্বের অনেক শক্তিধর রাষ্ট্রের থেকেও বেশি শক্তিশালী। সেটা প্রতিশ্রুতি রাখার দিক থেকে এবং ইকোনমির দিক থেকেও। তিনি মনে করছেন, মোদী যেভাবে ভারতে বিনিয়োগ আনার ব্যপারে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তা বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাস্ক তাই সামনের বছর ভারত ভিজিট করবেন। একইসঙ্গে ভারতে বড় অঙ্কের লগ্নি করবে টেসলা। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে যে টেসলা যদি ভারতে বিনিয়োগ করে তাহলে কর্মসংস্থানের প্রচুর সম্ভাবনা তৈরি হবে। একইসঙ্গে ভারত হয়ে উঠবে বিদেশের তাবড় সংস্থাগুলোর বিনিয়োগ করার জন্য খুব আশা ভরসার জায়গা।
প্রতিশ্রুতি এখানেই শেষ নয়। মাস্কের ইচ্ছে ভারতে স্টারলিঙ্কের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা নিয়ে আসা। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের যে সকল গ্রামীণ অঞ্চলে এখনো ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছয় নি, সেখানেও ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে স্টারলিঙ্ক। নিজের কারখানা সেট আপ করার জন্য নাকি ভারতে জমি খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে টেসলা। যা প্রত্যাশা পূরণের দিকে অনেকটাই এগিয়ে রাখছে। মনে করা হচ্ছে, তাহলে হয়ত টেসলা এবং স্টারলিঙ্ক পরিষেবা নিয়ে এসে ভারতের বাজারকে ধরতে চাইছেন মাস্ক। যদি সেই স্বপ্ন সত্যি হয় তাহলে কিন্তু কর্মসংস্থানে বিপুল জোয়ার আসবে। একইসঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ আরও অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে। চাঙ্গা হবে শেয়ার বাজার। শক্তিশালী হবে দেশের ইকোনমি। জল্পনা শুরু হতেই অনেকে তাই বলেছেন, ক্যা বাত- এই মোদী-মাস্ক সাক্ষাৎ। তবে আপাতত কবে সেই দিন আসবে? এখনো জানা যায়নি কিছুই। আপনার কি মনে হয়? টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের ভারত সফর কি সত্যিই ভবিষ্যতে তাবড় বিনিয়োগকারীদের আশা ভরসার জায়গা হয়ে উঠবে?
বিজনেস প্রাইম নিউজে।
জীবন হোক অর্থবহ