Daily
বুধবার মধ্যরাত থেকেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজকর্মে ব্যস্ত থাকা মানুষের ঈদ উপলক্ষে ঘরে ফেরার পালা। ঘরে ফেরার ঠেলায় ঢাকা শহর জুড়ে শুধুই আজ যানজট। দু’ঘণ্টার পথ পেরোতে সময় লাগছে ১১ ঘণ্টা। আবার ১২ ঘন্টাতেও পাড়ি দেওয়া যাচ্ছে না ৯০ কিলোমিটার পথ। এমনই ছবি গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে ঢাকার রাজপথে।
বৃহস্পতিবার গড়িয়ে আজ শুক্রবারও ঢাকার বিভিন্ন জাতীয় সড়কে শুধুই ঘরে ফেরা মানুষের বাসের লাইন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছে রয়েছে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ গাড়ির লাইন। পাঁচ-ছয় ঘণ্টা গাড়ির জ্যামে আটকা পড়লেও মানুষের মুখে নেই ক্লান্তির এতটুকু ছায়া। সামনে ঈদ। বাড়িতে ফিরতেই হবে।
ঢাকা থেকে মাত্র দু ঘন্টার পথ আরিচা ফেরিঘাট। সেই ফেরিঘাতে পৌঁছাতে সময় লাগলো রেজাউল করিমের ১১ ঘণ্টা। ফেরিতে গাড়ি আর মানুষের ভিড়ের তিল ধারণের জায়গা নেই।
দেখুন কি ভয়ঙ্কর জ্যামের ছবি ধরা পড়ল আজ শুক্রবার বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায়।
সকাল থেকে ঢাকার অন্যতম বড় বাস টার্মিনাস সৈদাবাদে তো তিল ধারণের জায়গা নেই। মানুষের কাউন্টারে টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন। কেউ খুশি বাড়ি ফেরার নেশায়। কেউ আবার জ্যামের ক্লান্তি কাটাচ্ছেন পথচলতি দোকানের চা, ফল সহ রকমারি খাবার-দাবার খেয়ে।
একের পর এক বাস টার্মিনাস থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে।
বাংলাদেশের সব থেকে বড় উৎসব এই ঈদকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় এক বিরাট অর্থনৈতিক লেনদেন। তবে প্রত্যেক বছরের মতো ঢাকার রাজপথে যে ফুটপাতের দোকানগুলো দেখা যায় এবার তার সংখ্যা অনেকটাই কম। করোনা যে থাবা বসিয়েছে বাংলাদেশেও। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বাস কর্মীরা।
বাস টার্মিনাসের বাইরে বসেই মানুষ পড়ে নিচ্ছেন পবিত্র নামাজ।
উৎসব পার্বণের অর্থনীতি বেশ কয়েকমাসের বেঁচে থাকার রসদ জোগায় বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখে। সেই উৎসব অর্থনীতিতে যেন পড়েছে মরা গাঙের ছবি। পদ্মায় জল থাকলেও উৎসব পার্বণের অর্থনীতির মরা গাঙে আবার জোয়ার আসবে কিনা সেটাই এখন দেখার।
ঋদি হক, ঢাকা