Daily

আপনি কি মুদ্রাদোষে আক্রান্ত? না খারাপ বলছি না। পুরোনো মুদ্রা জমানোর নেশা তো আমাদের প্রায় অনেকেরই আছে। আর এই মুদ্রাদোষ যদি থাকে, তবে থাকুক। কারণ কথায় আছে, পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। তবে শুধু জমালেই তো হলো না। রক্ষনাবেক্ষন এরও তো প্রয়োজন আছে। কারণ এই শহর আপনার মুদ্রা দোষের থুড়ি আপনার জমানো পুরোনো মুদ্রার দাম দেবে, কদরও করবে। কলকাতা শহরের অন্যতম ব্যবসা পুরোনো কয়েন কেনাবেচা। তা আপনি যদি সেই মুদ্রার কদর না করেন, তবে লক্ষী লাভ হবে কিভাবে?
জানেন কি কিভাবে করবেন সেই পুরোনো মুদ্রার রক্ষনাবেক্ষণ কিভাবে করবেন? কলিকাতা মুদ্রা পরিষদের সদস্য সুমিত্র বাবু জানান, মুদ্রা পরিষ্কার করার জন্য জলের বিকল্প আর কিছু নয়। জলে ধুয়ে গেঞ্জি কাপড়ে মুছে নিলেই সাধারণত পুরোনো মুদ্রা পরিষ্কার করা যায়। মূলত সোনা, রূপো আর তামা ব্যবহার করা হতো পুরোনো দিনে কয়েন তৈরিতে। সোনা বাদে রূপো এবং তামার আবহবিকার ঘটে। তাই জলই ভরসা।
এছাড়াও মুদ্রা আসল নাকি নকল তাও চেনা যায় বিশেষ পদ্ধতিতে। একজন বিশেষজ্ঞের কাছে, তা তো আরোই সহজ, তাও আবার খালি চোখে। মুদ্রা দেখেই বিশেষজ্ঞ বলে দিতে পারেন, সেই মুদ্রা কোন টাঁকশালের, কোন সালের, এবং তার দাম কত হতে পারে। আর এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এই পুরোনো কয়েন কেনা বেচার পদ্ধতি।
ব্যুরো রিপোর্ট