Daily

রঙিন পর্দার পর গান সম্প্রচারে মহিলাদের জন্য জারি করা হল তালিবানি ফতোয়া। তালিবানি রাজের সেকেন্ড ইনিংসে স্বমহিমায় তালিবান। প্রতিশ্রুতি থাকলেও তার কোন বাস্তবায়ন নেই। আর সেকেন্ড ইনিংসে এসে প্রথম টার্গেট হয়েছেন মহলারাই। রেডিও, টিভি সহ অন্যান্য সম্প্রচার মাধ্যম থেকে চিরতরে মুছে দিল তালিবান।
যে দেশে মহিলাদের রাস্তায় বেরোতে গেলে পড়তে হবে, হিজাব কিনবা বোরখা, রাখতে হবে পুরুষ গাইড, সে দেশে মহিলারা প্রকাশ্যে এসে গান বাজনার প্রচার করবে? কভি নেহি! তাই সপাটে জারি হল তালিবানি ফতোয়া। আসলে ফতোয়া তো নামে, কাজে হল মহিলাদের পায়ে বেড়ি পরানো। নতুন কিছু নয়। নব্বইয়ের তালিবানি শাসনও খানিক এমনটাই ছিল। কারণ, ‘খিলাফত প্রতিষ্ঠাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। আর যারা এই ফতোয়া অমান্য করছেন তাদের হাল অনেকটা তালিবানি কমিক শিল্পী নজর মহম্মদ কিংবা খ্যাতনামা লোকসংগীত শিল্পী ফওয়াদ আন্দরাবির মত হচ্ছে। এককথায় নৃশংস ভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে তাদের। এক পালাতে পারলে, হচ্ছে রেহাই। নয়ত বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত অপেক্ষা করছে মৃত্যু।
তালিবানি ফতোয়া মেনেই মহিলাকণ্ঠে গান, পাঠ স্তব্ধ হয়ে গেল সেই দেশে। কোনও মহিলা কণ্ঠস্বর সম্প্রচারিত হবে না, টেলিভিশনের পর্দায় কোনও মহিলার মুখ দেখা যাবে না। কাজে গেলেও বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের। আফগান মুলুকের কান্দাহারে আপাতত পাকাপাকি ভাবে অন্দরমহলেই চলে গেলেন মহিলারা।
ব্যুরো রিপোর্ট