Daily
ঠিক পুজোর মুখেই খুলে গেল টালা ব্রিজ। নবনির্মিত টালা ব্রিজের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় আড়াই বছর পর টালা ব্রিজ খুলে যাওয়ায় তা উত্তর কলকাতার মানুষজনের জন্য নিয়ে এলো বড় প্রাপ্তি। এই নতুন নির্মাণ করা টালা ব্রিজ অতীতের থেকে অনেকটাই চওড়া হয়েছে। আগে এই ব্রিজ ছিল ২ লেনের। এখন টালা ব্রিজ হয়েছে ৪ লেনের। চিতপুরের দিকে এই টালা ব্রিজের র্যাম্পটি ৩০০ মিটার দীর্ঘ। আর ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের টালা ব্রিজ তৈরি করতে রাজ্য সরকারের খরচ পড়ল প্রায় ৫০৪ কোটি টাকা।
স্বাভাবিকভাবেই, নব নির্মিত টালা ব্রিজ চালু হওয়ার জন্য যানজটের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে। এখন আর সিঁথির মোড় বা বরানগর থেকে যাত্রীদের শ্যামবাজার যেতে হলে আর বেলগাছিয়ার ব্রিজের ভারি ট্রাফিক জ্যামের মুখে পড়তে হবে না। উল্লেখ্য, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার কারণে টালা ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য উদ্যোগী হয় প্রশাসন। সেইমতন ২০১৮ সালে এই সেতুর পরীক্ষা করা হয় এবং ২০১৯ সালে জানিয়ে দেওয়া হয়, টালা সেতুর পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে। তারপরেই টালা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। পুরনো ব্রিজ ভাঙার জন্য রেলকে দিতে হয়েছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা। এরপর প্রায় আড়াই বছর চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল উত্তর কলকাতার মানুষদের। অবশেষে সেই ভোগান্তির হাত থেকেই রেহাই পেলেন তাঁরা। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ফলে নিঃসন্দেহে বলাই যায়, নবনির্মিত টালা ব্রিজ পুরনো টালা ব্রিজের থেকে অনেক বেশি মজবুত হয়েছে। যদিও কবে থেকে এই ব্রিজের উপর দিয়ে সব ধরণের গাড়ি চলাচল করবে সেই বিষয়ে জানা যাবে খুব তাড়াতাড়ি।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ