Market

তাজপুরে কবে তৈরি হবে গভীর সমুদ্র বন্দর? এই প্রশ্নটা যেমন বাংলার কর্মহীন মানুষের মনে ব্যপকভাবে তৈরি হচ্ছে, তেমনই প্রশাসনও সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজটা আর ফেলে রাখতে চাইছে না। তার অন্যতম প্রধান কারণ, ভাবমূর্তি। বাংলায় শিল্প নেই। বাংলায় শিল্প আসতে চায় না- এই সকল তকমা এবার একেবারে ঝেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। আর তাই তাজপুরের সমুদ্র বন্দর হতে চলেছে শিল্প টানার জন্য বাংলার এক তুরুপের তাস।
বহুদিন ধরেই তাজপুরের সমুদ্র বন্দর তৈরি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে বিভিন্ন গোষ্ঠী। তবে সবকিছুকেই ছাড়িয়ে যায় ধনকুবের আদানির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ। তারপর থেকেই শিল্পমহল আশাবাদী হয়ে ওঠে যে, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে আদানি। আর আদানির পা পড়া মানেই কর্মসংস্থানের জোয়ার। সূত্রের খবর, সমুদ্র বন্দর তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকার যে দরপত্র চেয়েছিল, তাতে সম্মতি জানিয়ে সমুদ্র বন্দর তৈরিতে একেবারে প্রথম দিকে রয়েছে আদানি গোষ্ঠী। আদানি গোষ্ঠী এই বন্দর থেকে আয়ের যে অংশটা রাজ্য সরকারকে দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তা অন্য কোন সংস্থাই সেভাবে রাজি হয়নি। তাই বলাই যায়, এই গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করতে রাজ্যের প্রায়োরিটি লিস্টে রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর নাম।
এদিকে সামনেই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন বা বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। এবারে প্রথম সারির শিল্পপতিরা তো বটেই এমনকি বেশ কিছু নামীদামী সংস্থা এই সম্মেলনে যোগদান করতে পারেন। রাজ্যে লগ্নি টানার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে মাইক্রোসফট, পেপসিকো বা ফিলিপ্স ইলেকট্রনিক্সসের মতন একাধিক প্রথম সারির সংস্থার। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে যে রাজ্য সরকার খুব তাড়াতাড়ি এই সমুদ্র বন্দর তৈরির বরাত দিয়ে দিতে পারে। এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
বাংলায় শিল্প আসুক। বাংলার ছেলেমেয়েদের তাহলে কাজের জন্য ছুটতে হবে না অন্য রাজ্যে। এক সুস্থ কর্মসংস্কৃতি তৈরি হোক গোটা বাংলা জুরেই। আর সেদিক থেকে দেখতে গেলে, তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর নিঃসন্দেহে কর্মসংস্কৃতির ছবিটাকে রাজ্যের বুকে আরও উজ্জ্বল করে দেবে। আপাতত সেই আসা নিয়েই রাজ্য সরকার এগিয়ে যেতে চাইছে সামনের দিকে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ