Daily

‘মশা মারতে কামান দাগা’—প্রবাদটি ফিরে এল নতুন করে শুক্রবার সন্ধ্যায়।
অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা সুইগির মাধ্যমে। কিন্তু সেই খাবার এসে আর পৌঁছয়নি। সুইগির পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়েছিল, খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পরে সুইগিকে সব জানানোর পর তারা টাকা ফেরৎ দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু খাবারটা আর পাননি সেই রাতে।
এ পর্যন্ত ঠিক আছে, বহু মানুষের সঙ্গে অহরহ এই ঘটনা ঘটে থাকে খাবার সরবরাহকারী সংস্থারগুলোর সঙ্গে। কিন্তু এরপরেই সোশাল মিডিয়াতে গোটা ঘটনা জানিয়ে দীর্ঘ চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ক্ষুধার্ত মানুষ খাবার না পেলে সারারাত কী করবেন? প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সে কথা উল্লেখ করেছেন রাজ্যের এক নম্বর অভিনেতা।
ঘটনাটি ঘটেছে ৩ নভেম্বর। বাড়িতে অতিথি চলে আসায় সুইগির মাধ্যমে খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই খাবার রাত পর্যন্ত না পৌঁছনোয় ক্ষুব্ধ হন অভিনেতা। সুইগিতে রিপোর্ট করার পর টাকা ফেরৎ দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ক্ষুব্ধ অভিনেতা এতেও ক্ষান্ত হননি। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। এই চিঠি লেখার পরেই সোশাল মিডিয়াতে নেটিজেনদের নানা মন্তব্যে ভরে গিয়েছে। কেউ পাশে দাঁড়িয়েছেন। কেউ বিদ্রুপ করেছেন। সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে পাঁচশো রিটুইট হয়েছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন রাষ্ট্রপতি বাদ কেন? রাজ্যপালকে কেন চিঠি দেওয়া হয়নি।কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘উচিত ছিল মামলা করা। তাহলে এই সংস্থাগুলো বাগে আনা যেত পারত।’
কিন্তু প্রসেনজিৎ বিভিন্ন মিডিয়াতে সাফ বলেছেন, ‘শুধু খাবার নয়। বিভিন্ন অ্যাপসের উপরে আমরা নির্ভরশীল। ওষুধ যদি এ ভাবে না পৌঁছয় তা হলে কী হবে, ভেবে দেখুন! এই সংস্থাগুলোকে আরও দায়িত্ববান হতে হবে। সে জন্য এ ভাবে চিঠি লিখেছি।’
প্রসেনজিতের চিঠিতে অবস্থার পরিবর্তন হয় কীনা, সেটাই দেখার।
ব্যুরো রিপোর্ট