Trending
মেলা মানেই বেচাকেনার মিলনস্থল। শীতের আমেজ নিয়ে এই মেলাই যেন সাধারণ মানুষের কাছে অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায়। করোনা আবহে মেলার বহর রাজ্যে কমে যাওয়ায় বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েন বিক্রেতারা। কিন্তু ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলার অর্থনীতি। কমেছে করোনার আতঙ্ক। আর সব মিলিয়ে তাই বাংলায় আবারো ফিরে আসছে মেলার চেনা পরিচিত মেজাজ। তারই একটা ছবি ধরা পড়ল বহরমপুরে। যেখানে এই প্রথমবারের মত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে আয়োজিত হল স্বয়ংসিদ্ধা মেলা। মূলত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি বিভিন্ন উৎপাদিত দ্রব্যের প্রদর্শনী এবং বিপণন হচ্ছে এই মেলায়।
জেলার ৮টি পুরসভার সম্মিলিত উদ্যোগে এই মেলার উদ্বোধন হয় শুক্রবার। প্রায় এক সপ্তাহ ব্যাপী এই মেলা চলবে বহরমপুরের দশ মুন্ডু কালী মন্দির সংলগ্ন মাঠে। মহিলাদের হাতের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী তুলে ধরা হয়েছে এই মেলায়। যেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে উপস্থিত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। মহিলাদের হাতে তৈরি এই সুনিপুণ শিল্পকীর্তির সাক্ষী থাকেন তাঁরা। রয়েছে ৩২টি স্টল। মহিলাদের আর্থিক বিকাশের দিকটিকে মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।
এই মেলা সম্পূর্ণভাবে মহিলাদের। তাঁদের সুনিপুণ হাতে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীতে রয়েছে সৌন্দর্য এবং পরিশ্রমের ছোঁয়া। তাই মেলায় এই সকল সামগ্রী বিক্রি করতে বেশ উৎসাহী মহিলারা। ক্রেতার ভিড় একটু কম হলেও আবারো যে মেলার পরিবেশ ফিরে আসছে সেটাই অনেকটা সুবিধে করে দিয়েছে বিক্রেতাদের।
মেলা মানেই সেখানে ক্রেতাদের পা পড়ে অনেকটা। বহরমপুরের এই স্বয়ংসিদ্ধা মেলায় তাই ভিন জেলা থেকেও ক্রেতাদের দেখা পাওয়া গিয়েছে। এমনকি কলকাতা থেকেও ক্রেতারা এসেছেন মেলার আনন্দ উপভোগ করতে।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় নারীদের স্বনির্ভর করতে একাধিক প্রকল্প নিয়েছেন। মহিলারাও যাতে সবদিক থেকে স্বনির্ভর হয়ে ওঠেন, সেটাই মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য। যাকে পুরোমাত্রায় ব্যবহার করল বহরমপুর পুরসভা। জেলার মহিলারা যে সত্যিই স্বয়ংসিদ্ধা, তা পাঁচদিনব্যপী চলা বহরমপুরের এই মেলায় না এলে যেন ছবিটা সত্যিই অসম্পূর্ণ থেকে যেত। করোনা আবহে মেলার বহর কমে যাওয়ায় বিক্রেতাদের মধ্যে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তার অনেকটাই কেটে গিয়েছে স্বয়ংসিদ্ধা মেলা হওয়ায়। তাই ক্রেতা তো বটেই। বিক্রেতারাও অনেকটা খুশি। মহিলাদের এই সুনিপুণ হাতের কাজ যেন মেলার সৌন্দর্য অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।
কুশল শরিফ
বহরমপুর