Daily
মাছে ভাতে বাঙালির পাতে চিংড়ি কিংবা পার্শের কদর কতটা, সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু ভেনামি চিংড়ির দৌরাত্মে ক্রমেই যে কমে আসছে বাগদার কদর। তাই বাগদার অস্তিত্ব রক্ষার্থে তৎপর সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে চালু করা হল স্বর্ণ মৎস্য যোজনা।
আধুনিক মাছ চাষে চাষিদের উৎসাহিত করতে হলদিয়ার নোনাজল তমলুক ব্লকের তরফে স্বর্ণ মৎস্য যোজনা প্রকল্পে চাষিদের মাছ বিতরণ করা হয়। গত ২৫ মার্চ হলদিয়ার বিডিও অফিস থেকে প্রায় সাতজন মাছ চাষিকে মিশ্র চাষের জন্য বাগদা এবং পার্শে বিতরণ করা হয়। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাছ চাষের জন্য চাষিদের এয়ারেটর মেশিন বিতরণ করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। মাছ চাষিরা যাতে এই চাষের মাধ্যমে বেশি পরিমাণে লাভবান হতে পারেন এবং ভবিষ্যতে বাগদা ও পার্শে চাষে আগ্রহ বাড়ে সেই জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ বলে জানালেন, হলদিয়া ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু।
এদিনের এই স্বর্ণ মৎস্য যোজনা কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকার মাছ চাষিদের প্রায় পঁচিশ হাজার বাগদা এবং এক হাজার পার্শে বিতরণ করা হয়। দপ্তরের তরফে এই সাহায্য পেয়ে খুশি মাছ চাষিরা। আশা রাখছেন আগামী দিনেও সরকার এইভাবেই তাদের পাশে থাকবে।
বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাছ চাষিদের এই ধরণের উৎসাহ প্রদান কর্মসূচী, সত্যি প্রশংসনীয়। আর এর ফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যে মাছ চাষে সমৃদ্ধ হবে, তা বলাই যায়। আগামী দিনে এই প্রকল্পের পরিসর বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
প্রসূন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপুর