একদা স্টিং ভিডিও-তে দেখা গেলেও কেন এখনও গ্রেফতার করা হল না শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কে? বিজেপি নেতা বলে কী বিশেষ কোন অ্যাডভান্টেজ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে? লোকসভা নির্বাচনের আঁচ কিছুটা ঠাণ্ডা হতেই নারদ কাঁটায় জর্জরিত শুভেন্দু এবং মুকুল।

কোলকাতা হাইকোর্টের নগর দায়রা আদালতের দারস্থ হলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এস এম এইচ মির্জা। সপাটে প্রশ্ন তুললেন, মুকুল এবং শুভেন্দুর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে ইডি? কেন এখনও তাদের গ্রেফতার করা হল না? সাওয়াল করেছেন প্রাক্তন পুলিশ করতার আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। উল্লেখ্য, নারদ স্টিং অপারেশনের সময় এস এম এইচ মির্জা বর্ধমানের পুলিশব সুপারের পদে ছিলেন। তাকে তারপর সাসপেন্ড করা হয়। এরপরই আদালতের দারস্থ হয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁর আইনজীবী। যদিও ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র জানান, তদন্ত কো পর্যায়ে রয়েছে, সেসব জেনেই পরবর্তী পদক্কখেপ গ্রহণ করা হবে।

সম্প্রতি কোলকাতা হাইকোর্টের নগর দায়রা আদালতে নারদ মামলার শুনানি ছিল। আর সেখানেই আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়লেন শুভেন্দু এবং মুকুল। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ম্যাথু স্যামুয়েলের সামনে আনা স্টিং ভিডিও ঘিরে কী পরিমাণে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল। সেই মামলা এখনও চলছে। এখন নগর দায়রা আদালতে ফের সেই কেসের প্রসঙ্গ উঠতেই প্রশ্ন উঠলো শুভেন্দু এবং মুকুলের বিরুদ্ধে। রয়েছে যথার্থ প্রমাণ। ফুটেজ রয়েছে আর্থিক তছরুপির। তাহলে গ্রেফতারি থেমে কেন? অনান্যদের বিরিদ্ধে তদন্ত জারি থাকলেও শুভেন্দু-মুকুলকে নিয়ে কোন উচ্চ-বাচ্চা নেই কেন?

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নির্বাচনের ঠিক মুখে ম্যাথু স্যামুয়েলের প্রকাশিত স্টিং ভিডিও ঘিরে রীতিমত তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে। পরবর্তীকালে তারা জামিনে মুক্ত হলেও মামলা এখনও চলছে। কোলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে যে, সিবিআই-এর চার্জশিট থেকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম সরিয়ে ফেলা হয়। এবিষয়ে অনেকেই বলেন যে, বিজেপি-র ওয়াশিং মেশিনে যাওয়ার পরেই শুভেন্দু অধিকারীর গায়ে লাগা নারদার দাগ ধুয়ে মুছে সাফ করে ফেলা হয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপি যেভাবে হেরেছে, তারপর এমনিই চাপের মধ্যে রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে নারদ মামলার শুনানি। একে একে পর্দা খুলছে নারদ মামলার। এই মুহূর্তে ডবল চাপে কার্যত পর্যুদস্ত শুভেন্দু অধিকারী।

সঙ্গে থাকুন, দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।