বাংলায় এবার লুঠের ভোট হয়েছে। সেটিং করেছে প্রিসাইডিং অফিসার। পুলিশ অবজারভার পরিচালনা করেছেন। আর এই গোটা বিষয়টা নেতৃত্ব দিয়েছেন জেলাশাসক নিজে। বাংলায় এবং বিশেষ করে অভিষেকের গড় ডায়মন্ডহারবারে কীভাবে লুঠের ভোট হয়েছে, সেটাই এবার ফাঁস করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি-র ভরাডুবির কারণেই কি বিস্ফোরক বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী? উঠছে প্রশ্ন।

পুলিশ অব্জারভার পরিচালনা করেছেন। জেলাশাসক রিগিং এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রিসাইডিং অফিসার সেটিং করেছেন। পুলিশ জেলাশাসক, প্রিসাইডিং অফিসার, অভিষেক, জাহাঙ্গির সব মিলেমিশে একাকার। প্রিসাইডিং অফিসারকে আগের দিন রাতে রীতিমত থ্রেট দেওয়া হয়েছিল। বাংলায় বিজেপি-র ভরাডুবির পর কীভাবে সাতিং করে বাংলায় ভোট হয়েছে, সেই তথ্য ফাঁস করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এখানেই বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে তিনি। অভিষেকের গড়ে সত্যি কি সেটিং এর ভোট হয়েছে? নাকি বাংলার নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপি-র ভরাডুবির কারণে পিঠ বাঁচানোর চেষ্টায় অজুহাত খাড়া করছেন তিনি।

বঙ্গ বিজেপি-কে নেতৃত্ব দিতে একবারে প্রথম সারিতে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আসার পরেই কার্যত প্রশ্নবানে বিদ্ধ হয়েছেন তিনি। বিরোধী দলের তরফে তো বটেই পাশাপাশি দলীয় সদস্যদের থেকেও এসেছে হাজার একটা প্রশ্ন। আর প্রশ্নবানে ঝাঁঝরা হয়েই এবার মুখ খুললেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে বিজেপি-র দলীয় সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আর সেই বৈঠকেই তাঁর বেফাঁস মন্তব্য, বাংলায় নাকি এবার লুঠের ভোট হয়েছে। সব কিছু আগে থেকেই সেটিং করা ছিল।

সদ্য সমাপ্ত হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই বিরোধীদের রোষের মুখে রয়েছে বাংলার শাসক দল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, এর পিছনে মদত রয়েছে ভাইপো-র পি.এ সুমিত রায় এবং খোদ জেলাশাসকের। ভোট কারচুপি হচ্ছে। আর এই পুরো খবরটাই নাকি তাদের কাছে ছিল। তারপরেও কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বরং মক পোলিং-এর নামে ৩০০-৪০০ ভোট কেতেছেন জেলাশাসক নিজে। তাদের ছেড়ে দেব ভাবছেন? লড়াই জারি থাকবে, বললেন শুভেন্দু। তিনি আরও কী বললেন? শুনুন।

সামনের সারিতে থেকে বাংলা থেকে বিজেপির সেনাপতিত্ব করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলায় এবারের নিরবাচনেরত পর নাকি শাসকদল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, এমন হুঁশিয়ারিও ছিল তাঁর। কিন্তু ভোটের রেজাল্ট বেরনোর পর তাঁর হুংকার যে হারিয়ে যাবে, তা বোধ হয় ঘূর্ণাক্ষরেও তিনি টের পাননি। নির্বাচনের রেজাল্টের পর বেশ কিছুদিন তিনি নিভৃতবাসে গিয়েছিলেন ঠিকই। তবে, এবার আবারও ফিরে একেবারে নিজের পুরনো মেজাজে শুভেন্দু। আক্রমণ শানলেন ডায়মন্ডহারবারের বাদশা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। রুখে দাঁড়ালেন বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধেও। দিলেন, ছেড়ে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি। একইসঙ্গে বাংলায় ভোটদুর্নীতির পর্দাফাঁস করার ইঙ্গিত রইলো তাঁর কথায়।

অভিষেকের গড়ে শুভেন্দুর হুংকার-সন্দেহের বাতাবরণ স্পষ্ট করছে অনেকের মধ্যে। শাসক দলের অনেকেই বলছেন, হয়তো রেকর্ড অঙ্কে অভিষেকের জয় আর বিজেপির ভরাডুবি হজম করতে পারছেন না শুভেন্দু অধিকারী। তবে বাংলায় বিজেপি-র এরকম ফলফল নিয়ে আক্ষেপের সুর সোনা যায় তাঁর গলায়।

দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।