Trending

প্রথাগত চাষ করে আয় তেমন একটা হয় না। তাই ছকভাঙা চাষে আয়ের পথ চওড়া করার চেষ্টা করছেন বহু চাষি। তেমনি একজন হলেন সুশীলা টুডু। যিনি মাশরুম চাষ করে খুঁজে পেয়েছেন স্বনির্ভরতার নয়া দিশা।
উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলামি গছ গ্রামের আদিবাসী গৃহবধূ সুশীলা টুডু। আগে করতেন দিন মজুরির কাজ। দারিদ্র্যের ছাপ সংসারে সবসময় লেগে থাকত। কিন্তু দারিদ্র্য ঘোচাতে কিছুটা বদ্ধপরিকর ছিলেন সুশীলা টুডু নিজেই। তাই বাড়তি আয়ের পথ খুঁজতে সাহায্যের জন্য গিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে। বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নিয়ে শুরু করেন মাশরুম চাষ।
স্ত্রী সুশীলা টুডুকে সাহায্য করছেন স্বামী গঙ্গা হাঁসদা। মাঠে কাজ করার পাশাপাশি স্ত্রী সুশীলা টুডুকে বাজারে বিক্রি করতেও সাহায্য করলেন তিনি। তাঁদের এই পরিশ্রম একটি কথায় বলতে গেলে বেশ সাফল্য দেখছে।
২০১৪ সাল থেকে সুশীলা টুডু শুরু করেছেন এই মাশরুম চাষ। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম চাষ করছেন। যা তাঁকে এলাকায় বেশ খ্যাতি এনে দিয়েছে। বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে ভালো রোজগারও করছেন তিনি। আজ তাঁর এই পরিশ্রম সার্থক হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সহায়তায়। সুশীলার মতে বাড়ির মহিলারা যে কেউ বাড়িতে পরিবারের লোকজন নিয়ে চাষ করে বাড়তি আয় করতে পারেন ।
অনুপ জয়সোয়াল
উত্তর দিনাজপুর