Daily

তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই যক্ষ্মার সমীক্ষা করে ফেলতে চায় নবান্ন। আর সেই মত প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। জানা গিয়েছে, আগামী ২ অগাস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আশাকর্মী, পুরসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকর্মীরা তিনজন করে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গিয়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালাবেন বিভিন্ন জেলায়।
সূত্রের খবর, এই সমীক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেবেন সেই বাড়িতে কোন যক্ষ্মা রোগী আছেন কিনা। যদি কেউ যক্ষ্মায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হয় তবে তাঁর পরীক্ষা করিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখ্য, এই কাজটি করার সময় যাতে আগ্রহ না হারিয়ে যায় তার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে ইনসেনটিভের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যে দল যক্ষ্মা রোগীর খোঁজ দিতে পারবে তাকেই পুরস্কৃত করা হবে ইনসেনটিভ দিয়ে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য দফতরের রাষ্ট্রীয় যক্ষ্মা নিবারণ প্রকল্প বছরে দু’বার সমীক্ষা চালায়। গত বছর অতিমারির ব্যপক প্রভাব থাকার জন্য সমীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তাই এই বছর সংক্রমণ কমে আসার পরেই সমীক্ষা করার কাজটি শুরু করে দিতে চায়। এবং শেষ করতে চায় করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই। যক্ষ্মা বর্তমানে চিকিৎসকদের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও সারা দেশে যত মানুষ বিভিন্ন রোগে মারা যান, তাঁদের মধ্যে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হবার সংখ্যাটা নেহাত কম কিছু নয়। আর সেই কারণেই ডিরেক্টলি অবজার্ভ ট্রিটমেন্ট থেরাপিতে ব্যবস্থা করা হয়েছে চিকিৎসার।
ব্যুরো রিপোর্ট