Daily
মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে আবারো ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলা। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে নিসর্গের প্রভাবে দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাগুলির পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও যেমন ছিল, তেমনি ছিল ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এবারও থাইল্যান্ডের উপকূলে যে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে তা ২ ডিসেম্বরের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে পরিণত হবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। এই ঘূর্ণিঝড়টি সাগরে শক্তি সঞ্চয় করে আগামী শনিবার আছড়ে পড়বে অন্ধ্র ওড়িশা উপকূলে।
এবারের ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শনি ও রোববার থেকে দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া সহ হুগলী, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং মালদাতেও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাই বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
জাওয়াদ ঘূর্ণিঝড়কে সামনে রেখে রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে সচেতনতামূলক প্রচার। একইসঙ্গে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকেও কৃষকদের সচেতন করতে চলছে লাগাতার প্রচার। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি যারা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন, চলছে তাদের ফিরিয়ে আনার জোরকদমে তোড়জোড়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সেই ছবিটাই তুলে ধরছেন আমাদের প্রতিনিধি।
অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে একেবারে মাঠে নেমে চাষিদেরকে সচেতন করার কাজে হাত দিল কৃষি দফতর। এমনিতেই এখন খারিফ মরশুমের আমন ধান কাটার সময়। মাঠের পর মাঠ রয়েছে আমন ধান ছড়িয়ে। চাষিদেরকে একেবারে মাঠে নেমে ধান তাড়াতাড়ি ঘরে তোলার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি দফতর। দেখুন নয়াগ্রাম ব্লকের সেই ছবিটাই তুলে ধরলেন আমাদের প্রতিনিধি।
প্রসূন ব্যানার্জী, দীপান্বিতা দাস
ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা