Daily

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের মুকুটে যুক্ত হল নতুন পালক। এই প্রথম দেশে মিঠা জলের কচ্ছপের গায়ে লাগানো হলো রেডিও ট্রান্সমিটার। অবশ্যই সংরক্ষণের স্বার্থে।
ঊনিশ শতকে সুন্দরবন উপকূলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল সহ থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া পর্যন্ত সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল বাতাগুর বাসকা বা পোড়া কাটা নামে বিরল প্রজাতির কচ্ছপগুলি। কিন্তু আজ ২০২১-এ দাঁড়িয়ে বিলুপ্ত প্রজাতির দলে নাম লিখিয়েছিল এই প্রজাতিটি। এবার সেই প্রজাতিকে শুধু সংরক্ষণ নয় রীতিমতো তার গতিবিধি নজরদারি করতে লাগানো হলো এই প্রজাতির দশটি কচ্ছপের গায়ে রেডিও ট্রান্সমিটার। মিষ্টি জলের কচ্ছপদের নিয়ে এই অত্যাধুনিক গবেষণায় এটাই দেশের মধ্যে প্রথম।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও তার সহযোগী টিএসএ সুন্দরবনের সজনেখালি, দোবাঁকি, হরিখালি সহ বিভিন্ন জায়গায় পুকুর খনন করে রীতিমতো সংরক্ষণ করে এই বিরল প্রজাতির কচ্ছপগুলিকে। বর্তমানে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতায় ছানাপোনা মিলিয়ে এদের সংখ্যা ৩৭০।
প্রথম পর্যায়ে দশটি কচ্ছপের গায়ে রেডিও ট্রান্সমিটার লাগিয়ে ছাড়া হল সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে। এই দশটি কচ্ছপের মধ্যে তিনটি পুরুষ ও সাতটি স্ত্রীও রয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, বন্যপ্রাণ পরিবেশে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিটি কিভাবে বেঁচে থাকবে, কিভাবে বংশবিস্তার করবে? সবটাই গবেষকেরা দূরে বসে নজরবন্দি করবেন রেডিও ট্রান্সমিটারের সাহায্যে।
দেখুন সেই বিরল প্রজাতির কচ্ছপগুলিকে ছেড়ে দেওয়া এক্সক্লুসিভ ফুটেজ শুধুমাত্র বিজনেস প্রাইম নিউজে।
এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডাইরেক্টর তাপস দাস, সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এর যুগ্ম ডাইরেক্টর অজয় কুমার দাস, ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডাইরেক্টর জোন্স জাস্টিন সহ একাধিক আধিকারিক।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প শুধু যে, রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের সংরক্ষণ করে এমন নয়। সংরক্ষণ করে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভের প্রতিটি বন্যপ্রাণকেও।
দীপান্বিতা দাস
দক্ষিণ ২৪ পরগনা