Daily
ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। আম্ফান, বুলবুলের পর এবার ইয়াস। আবারও ঘূর্ণিঝড়ে বেসামাল হতে পারে উড়িষ্যা বঙ্গ উপকূল।
সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষরা আবারও মুখোমুখি হতে চলেছেন রাক্ষুসে সাইক্লোন ইয়াসের। এই রাক্ষসের হাত থেকে কিভাবে যতটা সম্ভব নিজেদের ভিটেমাটি বাঁচাতে পারেন, তার জন্যই তাঁরা ঘনঘন নজর রাখছেন আবহাওয়ার খবরে।
আবহাওয়া দপ্তর জারি করল চূড়ান্ত সতর্কতা। আন্দামান সাগরে ঘনীভূত সুপার সাইক্লোন ঘণ্টায় ১৮০-২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে উড়িষ্যা বঙ্গ উপকূলে। ধ্বংসলীলা চালাতে পারে উড়িষ্যার উপকূলবর্তী জেলা কটকে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, যদি ঝড় গতিপথ পরিবর্তন করে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আঘাত হানে তাহলে পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে চালাতে পারে ব্যপক তাণ্ডব।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের ফিরিয়ে আনার কাজ। খোলা হয়েছে একাধিক কন্ট্রোল রুম। আম্ফান থেকে শিক্ষা নিয়ে দুই ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। বিদ্যুৎ দপ্তরেও খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। বাতিল করা হয়েছে কর্মীদের সমস্ত ছুটি।
আম্ফানের মত নবান্নেও খোলা হবে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। তদারকিতে থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে ঝড় সুন্দরবন লাগোয়া অঞ্চলে যদি আছড়ে পড়ে তাই আগেভাগেই সাগর, নামখানা, রায়দিঘি সহ বিভিন্ন নদী লাগোয়া অঞ্চলগুলি থেকে মানুষদের সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
উত্তর ২৪ পরগনা থেকে দেবস্মিতা মণ্ডল, অঙ্কিত মুখার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর থেকে মানস আদক ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে নবাব মল্লিকের রিপোর্ট