অতিমারির থাবায় ভাঙে অর্থনীতির শিরদাঁড়া। পর্যটন সহ বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে তার জোড়ালো ছাপ পড়ে। আমাদের বাংলাও আঁচমুক্ত ছিলনা। উত্তরে পাহাড় থেকে দক্ষিণের সাগর। প্রতি বছর যেখানে পর্যটকদের ঢল নামে, সেই পর্যটন‌ শিল্প করোনার দাপটে ‌থমকে যায়। অনিশ্চয়তা নামে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষের জীবনে। কিন্তু এরই মধ্যে সুখবর নিয়ে হাজির সুন্দরবন।

পুজোর মুখে আবারও চালু হচ্ছে সুন্দরবনের পর্যটন। আগামী ১ অক্টোবর থেকে পর্যটকরা জলে, জঙ্গলের এই রহস্য নিজের চোখে আবারও দেখতে পাবেন। সেই মত সরকারি তরফ থেকে যেমন নেওয়া হচ্ছে যাবতীয় উদ্যোগ। তেমনি পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৎপর সেখানকার হোটেল। করোনা বিধি গ্রাহ্য করে চলছে তারই চূড়ান্ত প্রস্তুতি।

সুন্দরবনের পর্যটনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বড় আকারের অর্থনীতি। পর্যটন থেমে থাকায় বন্ধ হয়ে যায় সেই অর্থনীতির ভিত। কিন্তু পুজোর মুখে আবার পর্যটনের দরজা খুলে যাওয়ায় আশাবাদী ট্যুর অপারেটররা। আগের মত চেনা ছন্দে ফিরতে একটু সময় লাগলেও ‌পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবেই বলে মনে করছেন তাঁরা।

বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে থাকে চিরকাল। ভ্রমণপিপাসু বাঙালির পায়ের তলা থেকে এই সর্ষে উধাও হয়ে যায় করোনার দাপটে। তবে দ্বিতীয় ঢেউ এর প্রকোপ এখন কমতে শুরু করায় আবারও ছন্দে ফিরছে রাজ্য। পুজোর মুখে সুন্দরবন খুলে গেলে বাঙালিরা যে আবার জঙ্গলমুখী হবেন সে কথা বলাই যায়। ফলে একদিকে যেমন পর্যটকরা পাবেন স্বস্তি, তেমনি হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রিক অর্থনীতি। আপাতত সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন পর্যটন ব্যবসায়ীসহ সুন্দরবনের মানুষ।

দীপান্বিতা দাস
দক্ষিণ ২৪ পরগনা