Market

হল না! প্রত্যাশার কাছাকাছিও পৌঁছনো গেল না। কালীপূজোর আগে দেশের গাড়ি বিক্রির বেহাল অবস্থা। গাড়ির মালিকদের বক্তব্য, ‘গত দশ বছরেও এত খারাপ অবস্থা আসেনি।’
কেন গাড়ি শিল্পে এত করুণ হাল? প্রশ্ন একটা হলে উত্তর হাজার। প্রথম কারণ যদি হয় ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি। দ্বিতীয় কারণ, পেট্রোল ও ডিজেলের আগুন দাম। গাড়ি নিয়ে জ্বালানি ভরতে গিয়ে নাভিঃশ্বাস না উঠে মধ্যবিত্তের। ধনতেরাস ও দিওয়ালির সময় সোনার পাশাপাশি গাড়ি কেনার রেওয়াজ বহু বছরের। যদিও গাড়ি বিক্রির শো-রুমে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ভিঙ্কেশ গুলাটি বলেন, ‘এক দশকে সবচেয়ে খারাপ উৎসবের মরসুম কাটালাম।’
তিনি অবশ্য অন্য কারণের কথা শোনাচ্ছেন, ‘চিপের জোগানে ঘাটতি যাত্রিবাহী গাড়ির জোগানেও বিপুল সঙ্কট তৈরি করছে। এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল), ছোট এসইউভি এবং দামি গাড়ির বিক্রি ধাক্কা খাচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অর্থনীতির ঝিমুনির পরে করোনা চাহিদা কেড়েছিল। তাতে কোপ বসিয়েছে তেলের চড়া দর। এ বার সেমিকনডাক্টর চিপের মতো যন্ত্রাংশের ঘাটতিতে ধনতেরসে গত বছরের থেকেও কম ব্যবসা করেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা মারুতি-সুজুকি।
কোম্পানির অন্যতম কর্তা শশাঙ্ক শ্রীবাস্তবের দাবি, ‘ক্রেতারা কিনতে চাইছেন। কিন্তু যন্ত্রাংশ ও গাড়ির জোগানের অভাবে ধনতেরসে ১৩ হাজার গাড়ি বিক্রি হয়েছে। গত বারের থেকেও অনেক কম। তবে টাটা মোটরসের প্রেসিডেন্ট শৈলেশ চন্দ্র জানান, ওই দিন তাঁদের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৯৪%। সৌজন্যে, নতুন মডেল এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি। ফলে টাটার গাড়ির ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারে উল্টো।
দিওয়ালিতে গ্রামের দিকে দু’চাকার গাড়ি বিপুল চাহিদা থাকে। কিন্তু জ্বালানির অত্যধিক চড়া দরের জন্য দু’চাকার গাড়ি এ বার বিক্রি অত্যন্ত কম। সব মিলিয়ে গাড়ি ব্যবসায় অমাবস্যার ছবিটাই প্রকট।
ব্যুরো রিপোর্ট