বি পি এন ডেস্কঃ বসন্ত এসেও আসে নি। শীতের পরেই তাপমাত্রার পারদ চড়েছে অনেকটা। হাঁসফাঁস অবস্থা আমজনতার। আর ভ্যাপসা গরমে প্রাণ জুড়োতে আইসক্রিমের জুড়ি মেলা ভার। কচি থেকে বৃদ্ধ সকলেরই প্রিয় আইসক্রিমের হরেক কিসিমের ফ্লেভার। তাই মার্চ মাসের শুরু থেকেই আইসক্রিম খাবার চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। যার ফলে হাসি চওড়া হচ্ছে আমুল, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, মাদার ডেয়ারির মত দেশের প্রথম সারির আইসক্রিম প্রস্তুতকারকদের ঠোঁটে। গত বছর ২৪ মার্চ। গোটা দেশ জুড়ে জারি হল লকডাউন। ফলে পচা বৈশাখে আইসক্রিম আর হৃদয় জুড়োতে পারল না দেশবাসীর। ব্যবসায় কঠিন ধাক্কা খেল এইসকল লিডিং আইসক্রিম প্রস্তুতকারকরা। তাই ২০১৯ সালে ব্যবসার যে অঙ্ক ছুঁয়েছিল ১৯ হাজার কোটির সীমা, সেই ব্যবসাই লক্ষ্মীহীন হয়ে পড়ল গত বছর। তারপর ক্রমশ শিথিল হল লকডাউন। আনলক পর্বে দেশ ফিরতে শুরু করল নিজের ছন্দে। প্রকৃতিও পরিবর্তন মেনে উপস্থিত গরমের আবহাওয়া নিয়ে। আর সেই ছন্দেই আইসক্রিম ব্যবসার চাকা ফের ঘুরতে শুরু করল, বেশ জোরেই। মাদার ডেয়ারির এক কর্তার দাবি, গত বছর গোটা মার্চ মাসে আইসক্রিমের যা ব্যবসা হয়েছে, সেই একই ব্যবসা হয়েছে এ-বছর মার্চ মাস শুরুর প্রথম তিনদিনের মাথায়। ব্যবসার অঙ্ক বেড়েছে ৩০-৪০%। তাঁদের আশা মার্চ মাস লক্ষ্মীর ভাঁড় পূর্ণ করে দেবে। যদিও লকডাউন পরবর্তী সময়ে সব জিনিসেরই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। ফলে তৈরি থেকে ক্রেতার হাত পর্যন্ত আইসক্রিম পৌঁছে দিতে খরচও হয়ত হচ্ছে একটু বেশি। কিন্তু সব পুষিয়ে দেবে চাহিদা, আত্মবিশ্বাসী হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, আমুলের মত প্রথম সারির কোম্পানিগুলো। তাই বলাই যায়, গরম থাকুক বা না থাকুক, আইসক্রিম থাকছেই। ব্যুরো রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ ।