Jobs
আইআইটি থেকে পাশ করে চাকরি পাচ্ছেন না, এমন কথা আগে শোনা যেত কী? বরং সেটা পড়ুয়ার মধ্যে প্রচ্ছন্ন এক গর্বের বিষয় বলেই মনে হত। কারণ আইআইটি পাশ মানে মোটা বেতনের চাকরি। বিদেশ সফর কার্যত নিশ্চিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ফের দেখুন। বর্তমানে যা অবস্থা, তারপর গর্ব দিয়ে কি আর চাল ফুটে ভাত হবে? কেন এই কথা বললাম? কারণ আইআইটি পাশ বেকারের সংখ্যা যেন এবার চমকে দিয়েছে। এই বছরে আইআইটি পাশ করলেও চাকরির খোঁজ মিলছে না। তারপর প্রশ্ন উঠছে, দেশে চাকরি-বাকরির কী অবস্থা সেটা কী কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে কিছু বলবে? আইআইটি পাশ পড়ুয়াদের যদি চাকরি না জোটে তাহলে অন্যান্য কলেজ, ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করা পড়ুয়ারা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন?
জানা গিয়েছে, দেশে যত সংখ্যক আইআইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার ৩৮% পড়ুয়াই চাকরি পাচ্ছেন না। মানে তাঁরা এখন কার্যত বেকারত্বের জ্বালায় ভুগছেন। ক্যাম্পাসিং-এ চাকরি হয় নি ৭ হাজারের বেশি আইআইটি পড়ুয়াদের। এই সংখ্যাটা বছর বছর যেন আরও বাড়ছে। কারণ দু বছর আগেও আইআইটি পাশ করে চাকরি না পাওয়ার সংখ্যাটা দাঁড়িয়ে ছিল ৩ হাজার ৪০০-র কাছে। ফলে চাকরি না পাওয়ার সংখ্যা একধাক্কায় প্রায় ২.৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বছরের মত দিল্লি আইআইটি-তে ক্যাম্পাসিং-এ চাকরি পাবার প্রক্রিয়া শেষের পথে। এদিকে ৪০০ জন পড়ুয়া পাশ করেও কার্যত বেকার। অন্যদিকে আইআইটি বম্বের প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়া চলবে জুনের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু সেখানকার অবস্থাও যে একেবারে ভালো নয়। প্রায় ২৫০ পড়ুয়ার কোন চাকরি নেই। ফলে তাঁরা এখন হতাশায় ডুবছেন। এবং কিভাবে চেষ্টা করছেন চাকরি পাবার? শুনলে চমকে উঠতে হয়। প্রাক্তনীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তাঁরা। হ্যাঁ, আইআইটি পাশ করা বেকার পড়ুয়ারা এখন প্রাক্তনীদের সঙ্গে কথা বলছেন। কার্যত কাজ ভিক্ষে করছেন। তাঁরা অনুরোধ জানাচ্ছেন, প্রাক্তনীদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে কোন ভ্যাকেন্সি তৈরি হয়েছে কিনা। তারপরেই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে নরেন্দ্র মোদী সরকার যে কর্মক্ষেত্রে আমূল বদল এনে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটা তাহলে কোথায় গেল? আইআইটি পাশ করা দেশের অন্যতম মেধাদীপ্ত পড়ুয়াদের কাছে যেখানে আগে বিশ্বের তাবড় তাবড় কোম্পানি উঁকিঝুঁকি মারত, তারা আর সেভাবে নাক গলাচ্ছে না? আর এই যদি দেশের কর্মসংস্থানের ছবি হয় তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন দেশের মেধাবীরা? প্রশ্নটা রইল বিজনেস প্রাইম নিউজের পক্ষ থেকে।
জীবন হোক অর্থবহ