Daily
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাদেই রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় আছড়ে পড়বে শক্তিশালী সুপার সাইক্লোন ইয়াস।
ধ্বংসাত্মক লীলা চালাবে ইয়াস। বাড়িঘর, জীবন, সম্পত্তি থেকে গবাদি পশু সবই পড়তে পারে ঝড়ের মুখে। এমনটাই মনে করছেন আলিপুর হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা।
শক্তিশালী ঝড়ের মুখ থেকে বাঁচতে হলে জানতে হবে কৌশল। সেই কৌশলের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আসুন দেখে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শগুলি।
** যারা কাঁচা বাড়িতে থাকছেন তাঁরা অবিলম্বে পঞ্চায়েত ও সরকারি দপ্তরগুলিতে যোগাযোগ করে সাইক্লোন সেন্টারগুলিতে চলে যান।
** শহরে যারা পাকা বাড়িতে থাকছেন অবিলম্বে তাঁরা ছাদের কার্নিশ থেকে ফুলের টবগুলি মাটিতে নামিয়ে রাখুন।
** শহর কিংবা গ্রাম বিশেষ করে উপকূলবর্তী অঞ্চলে ঝড় চলাকালীন কেউ বাড়ি থেকে বাইরে বেরোবেন না।
** বাড়ির আশেপাশে মরা গাছের ডালগুলি অবিলম্বে কেটে ফেলুন।
** বাড়িতে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখুন। সেইসঙ্গে শুকনো খাবার যেমন বিস্কুট, চিঁড়ে, মুড়ি প্রয়োজনমত আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখুন।
** বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যেতে পারে। সেইজন্য আগে থেকে মোমবাতি, টর্চ এগুলি নিয়ে তৈরি থাকুন। মোবাইল ফোন ও ইনভার্টার চার্জ দিয়ে রাখুন।
** যারা সরকারি সাইক্লোন সেন্টারে থাকবেন তাঁরা নিজেদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বিধি বজায় রাখবেন। মনে রাখতে হবে করোনা এখনও চোখ রাঙাচ্ছে। তাই মাস্ক ও স্যানিটাইজার অবশ্যই সঙ্গে রাখুন।
** শহরে কিংবা গ্রামে যেখানেই আপনি থাকুন না কেন ঝড় থেমে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। কেননা বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
** অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না। আতঙ্কিত হবেন না। সহকারী প্রচার ও নির্দেশিকার দিকে নজর রাখুন।
** উপকূলবর্তী গ্রামগুলোতে যারা বসবাস করছেন তাঁরা তাঁদের পোষ্য যেমন গরু, ছাগল, মোষ, হাঁস, মুরগি খোলা জায়গায় ছেড়ে দিন আটকে না রেখে।
এভাবে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া কিছু পরামর্শ মেনে চললেই আপনি রক্ষা পেতে পারেন শক্তিশালী ইয়াসের হাত থেকে।
ব্যুরো রিপোর্ট