Market
তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সমস্ত রকম বাণিজ্য এসে ঠেকেছে তলানিতে। সেই তালিকায় যুক্ত হল এবার চিনি। ভারত প্রতি বছর যে বিপুল পরিমাণ চিনি আফগানিস্তানে রপ্তানি করে, সেই চিনি কি আদৌ তালিবানি ফতোয়ার প্রকোপে পড়ে রপ্তানি করা সম্ভব হবে? এখন সেই প্রশ্নটাই সবথেকে বেশি চিন্তায় রাখছে ভারতের চিনিকল মালিকদের।
সূত্রের খবর, কাবুলিওয়ালার দেশে প্রতি বছর ভারত চিনি রপ্তানি করে প্রায় ১০ লক্ষ টন। প্রায় ৪০ কোটি ডলার ভারতের কেন্দ্রীয় কোষাগারে আসে শুধুমাত্র আফগানিস্তানে চিনি রপ্তানি করে। বর্তমানে যা একরকম বন্ধ। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিনিকল মালিকরা। চিনির মরসুম শুরু হয় অক্টোবর থেকে পরবর্তী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবু একটা স্বস্তির খবর যে, এই বছরের মত চিনি অনেকটাই রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যে রপ্তানিমূল্য ভারতের হাতে এসে পৌঁছেও গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তালিবান যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেয় তাহলে আগামী বছরগুলো থেকে চিনি রপ্তানি কি আদৌ সম্ভব হবে?
আর শুধু চিনিই নয়। ভারত আফগানিস্তানে চা, খাদ্যশস্য, ওষুধ, জামাকাপড়ের মত পণ্য রপ্তানি করে বড় অঙ্কের টাকা ঘরে ঢোকায়। যা সবই আজ অনিশ্চয়তায় ডুবেছে। ভারত আফগানিস্তানে পণ্য রপ্তানি করে পাকিস্তানের ভিতর দিয়েই। সেই পথও বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। ফলে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রায় ভেঙে পড়ার মুখে। যা কার্যত রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মহলের।
ব্যুরো রিপোর্ট