উত্তরবঙ্গে পর্যটনের মূল আকর্ষণ কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং কমলালেবুর বাগান। শুধু রাজ্য বলে নয়। দেশ, বিদেশ থেকেও বছরভর পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে উত্তরবঙ্গে। তবে এখন আর শুধু ট্যুরিজম নয়। উত্তরবঙ্গকে এগ্রি ট্যুরিজমের ভরকেন্দ্র করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। তারই হাতেনাতে প্রমাণ মিলল স্ট্রবেরি ভিলেজে এসে।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-ফার্মের নিরন্তর সহযোগিতায় এখন ব্যপকভাবে চাষ হচ্ছে স্ট্রবেরির। শিলিগুড়ির অদূরে মাটিগাড়া পতিরাম জোতে এই স্ট্রবেরি চাষ কৃষকদের আর্থিকভাবে অনেকটাই সাফল্য এনে দিয়েছে। পর্যটকরাও নিজের চোখে দেখতে আসছেন এই স্ট্রবেরি চাষ। জনপ্রিয়তা বাড়ছে উত্তরোত্তর। লোকমুখে এখন তাই স্ট্রবেরি ভিলেজ হিসেবেই খ্যাতি কুড়িয়ে নিচ্ছে। কিন্তু কিভাবে শুরু হল এই স্ট্রবেরি চাষ?

স্ট্রবেরি নিঃসন্দেহে একটি অর্থকরী ফসল। ঠিকঠাক চাষ করলে স্ট্রবেরির বাজার থাকে বেশ ভালোই। শুরুতে একজন কৃষক স্ট্রবেরি চাষে কো-ফার্মের সহযোগিতায় আগ্রহ দেখালেও বাজার বৃদ্ধির সাথে সাথে এখন পতিরাম জোতের সাত থেকে আটজন কৃষক চাষ করছে স্ট্রবেরির।

স্ট্রবেরি চাষ করে খুশি চাষিরা। তাঁদের আর্থিক ভিত অনেকটাই মজবুত হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে আরো বেশি করে চাষিভাইরা সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে এই স্ট্রবেরি চাষে লাভবান হতে পারেন, সেদিকেই লক্ষ্য রয়েছে কো-ফার্মের।

যত যাচ্ছে দিন, ততই বাড়ছে স্ট্রবেরি চাহিদা। আর করোনা আবহে তো এই ফলের চাহিদা পৌঁছে গিয়েছিল একেবারে তুঙ্গে। শিলিগুড়ি তো বটেই। সঙ্গে সিকিম, ভুটান সহ কলকাতাতেও পৌঁছে যাচ্ছে স্ট্রবেরি ভিলেজের স্ট্রবেরি। চাহিদা এতটাই বাড়ছে যে সামাল দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে চাষিদের। যা মুখের হাসি চওড়া করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কো-ফার্মের প্রত্যেককে।

অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি