Daily
ফাইবারের তৈরি হোক বা অন্য দামি ধাতুর। মূর্তি বা বিভিন্ন ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের নজরকে একটু বেশিই আকর্ষণ করে পাথরের তৈরি ভাস্কর্যগুলি। পাথর খণ্ডতে হাতুড়ি আর ছেনির যুগলবন্দি দিয়ে যখন ফুটিয়ে তলা হয় বিভিন্ন সব শিল্প কলা, তখন শিল্পীর আবেগ যেন ভাষা পায় সেই ভাস্কর্যে। আলিপুরদুয়ারের শিবু সরকারের এইরকমই এক আবেগপূর্ণ যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র ১২ বছর বয়সে। সংসারের হাল ধরতে সেই ছোট্ট শিবুকে পাড়ি দিতে হয়েছিল সুদূর রাজস্থানে। ছেলেবেলা থেকেই ছিল আঁকার প্রতি ঝোঁক। ফলে দ্রুত কাজ শিখে নিতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি ছোট্ট শিবুর।
তবে এখন শিবু একা নয়। তার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন তার দাদাও। লকডাউনের আগে তারা ভিন রাজ্যে কাজ করতেন। কিন্তু এখন তারা দুই ভাই মিলে এখানেই নিজেদের ওয়ার্কশপ তৈরি করেছেন।
শুরুতে প্রয়োজনীয় মূলধনের পরিমাণটা তুলনামুলকভাবে বেশি হলেও, বেশ ভালোই লাভদায়ক এই ব্যবসা। এবং এই শিল্পে আগ্রহ থাকলে ব্যবসা জড়িত সবরকম তথ্য প্রদানেও সহায়তা করবেন তারা। এমনটাই বললেন হেমেন্দ্র বাবু।
পশ্চিমবঙ্গে এই ব্যবসার আরও সম্প্রসারণ ঘটানোই এখন তাদের মূল লক্ষ্য। এই শিল্পের সাথে যাতে আরও অনেকে যুক্ত হয় এমনটাই চান তারা।
সম্প্রতি তারা পাথর কেটে মা সন্তোষীর একটি মূর্তি তৈরি করছেন। এবং এই মূর্তিটির দাম ধার্য করা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়। ৫ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন একটি শিবের মূর্তিও তৈরি হচ্ছে যার দাম ধার্য করা হয়েছে দুই লক্ষ টাকা। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করে তারা এখন ফাইবার ও সিমেন্টের মূর্তিও তৈরি করছেন। বর্তমানে তাদের তৈরি বিভিন্ন মূর্তি বা ভাস্কর্যগুলি অসম সহ ভিন রাজ্যেই বেশি যাচ্ছে। অর্ডারের বেশির ভাগটাই আসছে বাইরের রাজ্য থেকে। তবে স্থানীয় স্তরেও ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে তাদের তৈরি হস্তশিল্প।
অভিজিত চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার