Trending

ঘর ছেড়ে বেরোলেই করোনা আক্রমণ করবে, দু’বছরে এটাই জেনে এসেছে আমজনতা। তাই তো ঘরবন্দি জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে মানুষজনকে। কিন্তু কাঁহাতক দরজা বন্ধ করে থাকা যায়? আর যাদের পায়ের তলায় সর্ষে রয়েছে তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন যে করোনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন ভ্রমণে। যা রীতিমত আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। কিন্তু একটা তথ্য অদ্ভুত ঠেকলেও কিন্তু দারুণ সত্য। সেটা কী জানেন? বলা হচ্ছে, যে সকল রাজ্য পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে সেই সকল রাজ্যের সংক্রমণ নেমেছে তলানিতে। আর যে সকল রাজ্য পর্যটকদের জন্য দরজা বন্ধ রেখেছে সেই সকল রাজ্যে এখনও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা।
উত্তরাখণ্ডের কথাই ধরা যাক। বিগত কয়েকদিনে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলে পর্যটকরা রীতিমতো পৌঁছে গিয়েছেন। সেখানে ভিড়ের বহর দেখে আঁতকে উঠেছেন অনেকেই। স্বাস্থ্যবিধি উধাও, করোনাভীতিও উধাও। একই ছবি জম্মু-কাশ্মীরেও। কারণ এই তিনটি রাজ্যই অনেকটা নির্ভরশীল পর্যটনের ওপর। আর করোনা সংক্রমনের গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় তিনটি রাজ্যই পর্যটকদের জন্য দরজা দিয়েছে খুলে। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে এক অবাক করা ছবি।
হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরে করোনার সংক্রমণ কার্যত এখন তলানিতেt এসে ঠেকেছে। গত ২৪ ঘন্টায় উত্তরাখণ্ডে ৩০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র ৬৫ জনের আক্রান্ত হবার খবর মিলেছে শতাংশের হিসাবে যা ০.২%। অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরে সংক্রমণের হার ০.৪৩ শতাংশ এবং হিমাচল প্রদেশে ১.২%।
ওদিকে যদি কেরালা এবং মহারাষ্ট্রের দিকে তাকানো যায় তাহলে এই সকল রাজ্যগুলিতে এখনো কিন্তু করোনার ভ্রুকুটি রয়েছে ভালো রকম। কেরালায় সংক্রমণের হার প্রায় ১১ শতাংশ এবং মহারাষ্ট্রে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশের কাছাকাছি। সুতরাং পর্যটকরা ভিড় করছেন বলেই যে সংক্রমণ আরো বেশি করে ছড়াবে তার কোনো প্রমাণ আপাতত নেই। আবার এটাও ঠিক যে করোনাকালে পর্যটনের জন্য পর্যটকদের সমস্ত রকম স্বাস্থ্য বিধি মেনেই মন ভালো রাখতে হবে। আর মন ভালো রাখার টনিক যখন একটুখানি ঘুরে আসা তখন ঘুরতে যেতে আপত্তি কোথায় কিন্তু বিধি-নিষেধকেও যে ভুলে গেলে চলবে না।
ব্যুরো রিপোর্ট