Daily

পর্যটন প্রেমীদের জন্য সুখবর। এবার ঘুরতে গিয়ে মন ভালো করার পাশাপাশি পেয়ে যাবেন মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। করোনা আবহে অনেকেরই শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রভাব পড়েছে তাই এবার তাদের কথা ভেবে তৈরি হতে চলেছে রাজ্যের সবচেয়ে বড় ‘ওয়েলনেস সেন্টার। পর্যটন দফতর সূত্রের খবর শিলিগুড়ি লাগোয়া গজলডেবার ভোরের আলোয় এই ওয়েলনেস সেন্টারটি তৈরি হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ভোরের আলোয় সেন্টারটির জন্য দুই একরের মতো জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বা ডিপিআর তৈরি হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞ বাস্তুকারও নিয়োগ করা সম্পূর্ণ হয়েছে।
এই ওয়েলনেস সেন্টারটি তৈরি করতে আপাতত সরকারের তরফে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে। ঘুরতে গিয়ে ওয়েলনেস সেন্টারে নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে শরীর-মনকে সুস্থ এবং তাজা করে তোলার জন্য নানা চিকিত্সা বা পদ্ধতি রাখা হবে গজলডোবার এই কেন্দ্রটিতে। এমনকি চিকিত্সকদের পরামর্শে ওষুধ, যোগব্যায়াম বা নানা পদ্ধতিও ব্যবহার করা হবে সুস্থ হতে। আর তাই এ বার সরকারি ব্যবস্থায় একই ছাতার তলায় আনা হচ্ছে ওয়েলনেস সেন্টার।
ইতিমধ্যেই রাজ্য পর্যটন দফতরের শিলিগুড়়ির আঞ্চলিক দফতরের তরফে কাজের তদারকি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। নকশা, নথিপত্র, টেন্ডার করা নিয়ে কাজ চলছে। পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে মেডিটেশন সেন্টার, হিলিং সেন্টার, আধুনিক স্পা, স্টিম ও সওনা বাথ, কাউন্সেলিং রুম, কাফেটেরিয়া, ক্লক রুম, পার্কিং এলাকা তৈরি করা হবে । এর পরে সুইমিং পুল, ও জিম তৈরির কাজ শুরু হবে। সবথেকে বড়ো কথা হোলো ভোরের আলোর সরকারি কটেজগুলির পাশেই কেন্দ্রটি তৈরি হবে। এছাড়াও তৈরি করা হবে বিরাট ফুড কোর্ট, যেখানে বিভিন্ন সংস্থার রেস্তরাঁর মতো ব্যবস্থা থাকবে। এবং ভোরের আলোয় এই সমস্ত ব্যবস্থাপনায় রীতিমতো প্রশিক্ষিত কর্মী, প্রশিক্ষক বা চিকিত্সক থাকবেন সমস্ত ব্যাপার দেখা শোনার জন্য।
হেলথ ট্যুরিজম গোটা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। আর সেই কথা মাথায় রেখেই দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, সমস্ত ব্যবস্থাই রাখা হবে।
ব্যুরো রিপোর্ট