Daily
আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন এবারের লক্ষ্য রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন। শিল্পোন্নয়নে প্রয়োজন উন্নত পরিকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিশেষ করে কম সময়ে দ্রুত রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাতে যাওয়া যায় সেই ব্যবস্থাই করতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঢেলে সাজাতে চাইছেন জেলায় জেলায় বিমান পরিবহনের ব্যবস্থা।
আগে দেশের শিল্পপতিদের প্রধান অভিযোগ ছিল রাজ্যের বিরুদ্ধে লাল ফিতের ফাঁস। আর অপরিণত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এবার সেই যোগাযোগ ব্যবস্থাকেই ঝাঁ-চকচকে করে বিনিয়োগ টানতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের কাছে এখন রয়েছে মাত্র তিনটি বিমানবন্দর। কলকাতা, বাগডোগরা ও অন্ডাল বিমানবন্দর। এরমধ্যে কলকাতা ও বাগডোগরায় নিয়মিত উড়ান চললেও এখনো পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি উড়ান ওঠানামা করে অন্ডাল বিমানবন্দরে। এবার সেই অন্ডাল বিমানবন্দরকে নাম বদলে কাজী নজরুল ইসলামের নামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বানাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্ডাল বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের জন্য বাজেটে দেড়শ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। কলকাতার পাশাপাশি একটি সমান্তরাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে অন্ডালকে গড়ে তুলতে পারলে শিল্পপতিরা খুব সহজেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।
অন্ডাল বিমানবন্দরের পাশাপাশি মালদা, কোচবিহার ও বালুরঘাটেও শুরু হয়ে গিয়েছে বিমানবন্দর আধুনিকীকরণের কাজ। এছাড়াও রাজ্যে স্থায়ীভাবে ৩০ টি হেলিপ্যাড জোন তৈরি করে রিজিওনাল কানেক্টিভিটিকে আরো জোরদার করতে চাইছেন রাজ্য সরকার।
রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এবার তার ডেস্টিনেশন শিল্প। সেই শিল্পে জোয়ার আনতে রিজিওনাল কানেক্টিভিটি বিশেষ করে বিমান পরিবহন অনুঘটকের কাজ করে বলেই শিল্প মহলের দাবি। শিল্পমহলের দাবিকে সম্মান দিয়ে রাজ্যে উন্নত মানের বিমান পরিবহনের জন্য দ্রুত গতিতে কাজ করে চলেছেন রাজ্য সরকার। তৈরি হয়েছে বিশেষ পরিকাঠামো উন্নয়ন দপ্তরও। সব মিলিয়ে রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগে এনে বেকার সমস্যার সমাধান করাই রাজ্য সরকারের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।
ব্যুরো রিপোর্ট
বিজনেস প্রাইম নিউজ