Daily

রাজ্যের একাধিক কল-কারখানায় বাড়তি জমি থেকেই যায়। না লাগে হোমে, না লাগে যজ্ঞে। কিন্তু সেই জমিকেই যদি ব্যবহারের কাজে লাগানো যায়? বিষয়টা কিন্তু মন্দ হয়না। আর কারখানার আশেপাশের বাতাস যে পরিমাণে দূষিত হয়, সেই দূষণ থেকে উদ্ধার করার জন্য চাষবাস ছাড়া আর ভালো উপায় আছে কি? আর তাই, কারখানার উদ্বৃত্ত জমিতে গ্রিন হাউস ফার্মিয়ের উৎসাহ রাজ্যের।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে কারখানার বাড়তি জমিতে কিছু দামী আনাজ যেমন ক্যাপসিকাম, লেটুস, টম্যাটো ইত্যাদি গ্রিন হাউস পদ্ধতিতে চাষ করায় বিশেষ আগ্রহী উদ্যানপালন বিভাগ। আর এই পরিকাঠামো তৈরির খরচের অর্ধেক ভর্তুকি দেবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দপ্তর। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, জমিটা যেমন পুনর্ব্যবহার করা যাবে, তেমনই বিকল্প একটা আয়ের ব্যবস্থাও হবে।
গ্রিন হাউস পরিকাঠামোতে সুবিধা কিরকম পাওয়া যায়? বাড়তি জমিতে বর্গমিটার প্রতি মাত্র ১০০০ টাকা খরচে ৫০০ বর্গমিটার এলাকায় গ্রিন হাউস পরিকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব। খরচের অর্ধেক বহন করবে রাজ্যই। আর চারিদিক কাঁচ দিয়ে ঘেরা থাকায়, পাখি, কীট পতঙ্গের কিংবা কাঠবিড়ালির আক্রমণ থেকেও গাছগুলোকে রক্ষা করা যাবে। চাষের ক্ষেত্রে, জলও লাগবে কম।
সবথেকে বড় কথা হলো, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে,এই খাতে আয় থেকে দু’আড়াই বছরের মধ্যে খরচ পুষিয়ে যাবে। আর এমন পরিকাঠামো গড়তেও সময় লাগবে মাত্র মাস দেড়েক। এখন কারখানাগুলো সরকারের এই উৎসাহী প্রকল্পে সায় দেয় কিনা, সেটাই দেখার।
ব্যুরো রিপোর্ট