Trending

কখনও আম্ফান তো কখনও ইয়াস। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেখানে নিত্য, সেখানে উপকূল এলাকার কৃষকরা কী ফসল ফলাবেন? আর কিভাবেই বা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হতে পারবেন? এই ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপকূলবর্তী কৃষকদের নিয়ে অন্যতম প্রধান ভাবনা চিন্তা। শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, বরং এমন একটি ধান তাঁদের চাষের জন্য বিতরণ করা যাতে নোনা এলাকাতেও ধানচাষ ভালোভাবে হতে পারে। কৃষকরা খুঁজে পান উপার্জনের পথ। বিস্তর গবেষণার পর অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর তাগিদেই এবার ‘নোনা স্বর্ণ’ বীজধান বিতরণে দেওয়া হল বাড়তি জোর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের মত তিন উপকূলবর্তী জেলায় বিশেষ ধরণের এই ধানবীজ বিতরণ করা হয়েছে। যা নোনা জলের মাটিতেও দারুণভাবে চাষ করা যায় এবং এর ফলনও হয় বেশ ভালোই। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তিনটি জেলায় এখনও পর্যন্ত ১,২৯০ মেট্রিক টন ‘নোনা স্বর্ণ’ বীজধান বিতরণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে মোট ১১ কোটি টাকা।
কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই নোনা মাটিতে চাষের উপযোগী এই ধান প্রস্তুত করা হয়েছে। যা কৃষকদের মধ্যে বিতরণও করা হয়ে গিয়েছে। এর ফলে উপকৃতও হয়েছেন অনেকে। নোনা সুবর্ণ, নোনাশ্রী, ধীরেন, দুধেশ্বর, কলমা, গোসাবা-১ এর মত মোট ছটি প্রজাতির ধান কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। যা ইতিমধ্যেই কৃষকভাইদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
ব্যুরো রিপোর্ট