Trending

সভ্যতার সেই প্রথম লগ্ন থেকে মহাকাশ এর রহস্য নিয়ে মানুষের অসীম কৌতূহল। আর এই কৌতূহল মেটাতেই মহাকাশ নিয়ে গবেষণা এবং একের পর এক মহাকাশ অভিযান হয়েই চলেছে। সেই ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর স্পুটনিক ১ দিয়ে শুরু হয়ে ১৯২৩ এ চন্দ্রযান ৩। আসলে সব ভালোরই কিছু খারাপ দিক থাকে। এক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর ফলে আজ পৃথিবী এক ভয়ঙ্কর সমস্যার মুখোমুখি। মহাকাশ নাকি জঞ্জালে ভরে যাচ্ছে।
এই মহাকাশ জঞ্জাল বা স্পেস জাঙ্ক আসলে কী? পৃথিবী থেকে মহাকাশ মিশনের উদ্দেশ্যে যেসব মহাকাশ যান,রকেট উপগ্রহ পাঠানো হয় কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাবার পরেও সেগুলো মহাকাশেই ছড়িয়ে থাকে। এগুলো নিজেদের মধ্যে ধাক্কা খেতে খেতে টুকরো টুকরো হয়ে সংখ্যায় বাড়তে থাকে। এগুলোই হল মহাকাশ জঞ্জাল বা স্পেস জাঙ্ক। এরা আকারে ছোট হলেও এদের গতি ভিসন বেশি তাই এদের ভরবেগ ও বেশি। এরা এই উচ্চ গতির কারণে মহাকাশের অন্য কার্যকরী মহাকাশযান বা উপগ্রহের ক্ষতি করে দিতে পারে। আবার আকারে বড় জঞ্জালগুলি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসে ঘটাতে পারে চরম বিপর্যয়, এমনকি মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এর আগে এই সব জঞ্জাল পৃথিবীতে পড়ার পর মাটিতে গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে।
আর এই বিপদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে ইসরো। এই মুহূর্তে ইসরো র হাতে রয়েছে অনেক মিশন। চন্দ্রযান ৩ মিশন তো ইতিমধ্যেই শুরুই হয়ে গেছে। কিন্তু শুধু বিভিন্ন মিশন পরিচালনা করেই থেমে থাকতে চায় না ইসরো। তার সঙ্গে মহাকাশের জঞ্জাল থেকে অ্যাকটিভ স্যাটেলাইট গুলোকেও রক্ষা করতে উদ্যোগী তারা। নেত্র প্রজেক্টের মাধ্যমে মহাকাশের জঞ্জাল সাফ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
বেঙ্গালুরুর পিন্যাতে ISTRAC ক্যাম্পাসে ইসরো মহাকাশে আবর্জনা পরিষ্কারে নেত্র নামে একটি স্পেস সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস (SSA) কন্ট্রোল সেন্টার তৈরি করেছে ইসরো। নেত্র (NETWORK FOR SPACE OBJECT TRACKING AND ANALYSIS), মহাকাশে ভারতের পাঠানো বিভিন্ন স্যাটেলাইটগুলোকে ট্র্যাক করা,সেগুলো যাতে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে এবং মহাকাশের বর্জ্য গুলির সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাতে মুল্যবান সম্পদের কোন ক্ষতি না হয় এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
নেত্র হল এক ধরনের অপটিক্যাল টেলিস্কোপ যার প্রধান উপাদান হল একটি রাডার। এটির সাহায্যেই জানা যাবে যে মহাকাশে কোথায় কোন আবর্জনা আছে। এই নেত্র ১০ সেন্টিমিটারের ও কম ছোট বস্তুকে ট্র্যাক করতে এবং ৩৪০০ কিলোমিটার জায়গায় অর্থাৎ প্রায় ২০০০ কিলোমিটার এর একটি মহাকাশ কক্ষপথে নজর রাখতে সক্ষম।
ইসরোর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ