Daily
আকাশ ছোঁয়া পাহাড়, চারিদিকে চা বাগান, সারি সারি পাইন গাছ আর তারই মাঝে একটি বাংলো। ব্যাল্কনিতে এক কাপ চা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আপনি আর ঠিক তখনই এক রাশ মেঘ এসে ঘিরে ধরল আপনার চারিপাশ। ভাবলেই একটা আলাদা রিফ্রেশমেন্ট কাজ করে মনের মধ্যে তাই না? আচ্ছা, পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য আর উত্তরের শীতল হাওয়ার স্পর্শ পছন্দ করেনা এমন বাঙালী কি সত্যিই আছে? আর কারই বা মন চায়না, যে ব্যাস্ত শহরের কোলাহল থেকে নিজকে একটু বিরত রেখে দূর কোনো হিল স্টেশনে গিয়ে কটাদিন সময় কাটিয়ে আসা? বাঙালীর কাছে আবার পাহাড় বলতে কিন্তু দার্জিলিঙয়ের কথাই মাথায় আসে। কিন্তু এবার দার্জিলিং না। আপনাদের জন্য এক অতুলনীয় টুরিস্ট ডেসটিনেশন কাম হিল স্টেশনের খোঁজ নিয়ে এসেছে বিজনেস প্রাইম নিউস। ৪ হাজার ৫০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত সৌরিনী টি এস্টেট এন্ড বুটিক রিসোর্ট। মিরিক যাওয়ার পথেই পড়বে এই আকর্ষণীয় রিসোর্টটি।
১৯০৪ সালে স্থাপিত, পুরনো এই ঐতিহাসিক বাংলোটি মূলত ব্রিটিশ সময়কালে চা কেনা-বেচা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এটিকে একটি আকর্ষণীয় রিসোর্ট হিসাবে গড়ে তলা হয়। এবং রিসোর্টে রয়েছে সবরকমের সুযোগ-সুবিধা।
অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে ভ্যারাইটিস খাবার। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা তারা সিগনেচার ডিশ হিসেবে ব্যবহার করে। যেহেতু এটি একটি টি রিসোর্ট সেই কারণে এরা প্রধান সিগনেচার ডিস হিসেবে চা গাছের বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকে। তারমধ্যে চা গাছের ফুলের পাকোড়া এদের অন্যতম একটি সিগনেচার ডিশ।
বর্তমানে এখানে মোট ১২ টি রুম থাকলেও ভবিষ্যতে তার সংখ্যা বাড়িয়ে ৫১ তে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে রয়েছেন তারা। এই রিসোর্টে মূলত দুই ধরনের রুমের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথমত জুনিয়র সুইট রুম, যার ভাড়া ২৪,০০০ টাকা প্রতি রাত এছাড়াও রয়েছে প্রেসিডেন্ট সুইট রুম, যার ভাড়া প্রতি রাত ৩০,০০০ টাকা। যেকোনো রুমই ভাড়া নিলে ব্রেকফার্স্ট মিলবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
রিসোর্টের চারদিকে যে রকম রয়েছে চা বাগান, তেমনি সারিবদ্ধভাবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাইনের গাছ। মাঝে মাঝে পাহাড়ের গা বেয়ে কালো মেঘ এসে রিসোর্টটি ঢেকে দিয়ে যায়। ৪৫০০ ফুট উচ্চতায় রিসোর্টটি হওয়ায়, এর মনোরম পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করছে ব্যাপকভাবে। তার ওপর সামনেই দুর্গা পুজো। আর দুর্গা পুজো মানেই কয়েকটাদিনের লম্বা ছুটি। অনেকেই এমন আছেন যারা দুর্গা পুজোর ছুটিটা কলকাতায় না কাটিয়ে ছুটে যান বিভিন্ন টুরিস্ট ডেসটিনেশনে। তাই এবারের পুজোর ছুটিতে চাইলেই যেতে পারেন এই টি রিসোর্টে। তাছাড়া দৈনন্দিন ব্যস্ততা আর একঘেয়েমি রুটিনের থেকে কটাদিন ছুটি নিয়ে, শহরের কোলাহল থেকে বেশ দূরে, হাওয়া বদলাতে ঘুরে আসাই যায়, সৌরিনী টি এস্টেট এন্ড বুটিক রিসোর্ট থেকে।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুরি