Daily
ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বলতম নাম সৌরভ গাঙ্গুলি। মহারাজ ১৯৭২ সালের ৮ জুলাই কলকাতার বেহালায় জন্মেছেন। তাঁর প্রথম ভালবাসা ফুটবল। এদিকে তাঁর দাদা স্নেহাশিস গাঙ্গুলি ‘বেঙ্গল ক্রিকেট টিমে’ ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত। তখন দাদার পরামর্শে সৌরভ ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পে ভর্তি হলেন। শুরু হল এক নতুন অধ্যায়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন ১৯৯২ সালে ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে তিন রানে তাঁকে ফিরতে হয়েছিল। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ লড়াই করে ভারতের জাতীয় দলে ইংল্যান্ড ট্যুরের সময় ডাক পড়ল দাদার । একটা মাত্র ওয়ানডে তাঁকে খেলানো হল। ইংল্যান্ড ট্যুরে প্রথম টেস্ট থেকে বাদ পরলেও, দ্বিতীয় টেস্টে নভজিত সিং সিধু অসুস্থ থাকায়, তাঁর জায়গায় সুযোগ পেলেন মহারাজ। লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সূচনা হল এক রাজকীয় অধ্যায়ের।
ভারতীয় টিমের এক টালমাটাল অবস্থায় হাল ধরলেন সৌরভ। আমরা দেখলাম ২০০০-২০০৫ সাল পর্যন্ত সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে ভারতীয় দলের এক অভূতপূর্ব উত্থান। তাঁর নেতৃত্বেই ২০০৩ সালে ভারত বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলেছিল। ফিক্সিং স্ক্যান্ডেলে আত্মবিশ্বাস হারানো ভারতীয় দলকে দীর্ঘ দিন বাদে লড়াইয়ে ফিরিয়ে এনেছিলেন তিনি। প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে শিখিয়েছিলেন মহারাজ।
এরপর ২০০৫ সালে গ্রেগ চ্যাপেল ইন্ডিয়ান টিমের কোচ নির্বাচিত হতেই সৌরভকে বাদ দেওয়া হল ভারতীয় দল থেকে। কিন্তু মহারাজ আবার ফিরলেন স্বমহিমায়। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্টের জন্য ভারতীয় দলে ফেরেন দাদা। তারপর এক রাজকীয় ইনিংস। দাদা ২০০৭ সালে ১৫ নভেম্বর পাকিস্তানের সাথে শেষ ভারতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলেন। দাদা ২০১৯ সালে বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এখনো তাঁর বোর্ড সভাপতির ইনিংস চলছে। ২০০৪ সালে দাদাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।