Daily

ট্রেন বন্ধ। তাই কাজে যাওয়াও বন্ধ। আর কর্মস্থলে পৌঁছোতে না পারা মানে কালকের অন্ন সংস্থানে আবারও অনিশ্চয়তা। তাই না খেয়ে মরা নয়, বরং লড়াই করে মরা ভালো। লোকাল ট্রেন চালু করার দাবি তুলে এভাবেই যাত্রী বিক্ষোভ দেখা দিল সোনারপুর স্টেশনে। বুধবার সকালে ট্রেন বন্ধের এই জোরালো প্রতিবাদে সোচ্চার হন কয়েকশো মানুষ। যাদের অধিকাংশই কলকাতায় আসা পরিচারিকা এবং শ্রমিক শ্রেণির।
সকাল ৭.৩০ থেকে স্টেশনে যাত্রীদের বিক্ষোভ শুরু হয়। এর ফলে আপ-ডাউন দুটো লাইনই আটকে যায়। আরপিএফ, জিআরপি এবং পুলিশের অনুরোধ সত্ত্বেও প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ বন্ধ করতে অস্বীকার করেন। তাঁদের বক্তব্য, না খেয়ে মরার চেয়ে লড়াই করে মরা ভালো। শিয়ালদহ ডিভিশন থেকে বলা হয়, ট্রেন চালানোর জন্য রাজ্যের অনুমতি আগে প্রয়োজন। বনগাঁ শাখায় ভিড় ব্যপক হারে বাড়ছে। ফলে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না। বিক্ষোভ চলার কারণে ট্রেন চলাচল থমকে যায়। ভয়ানক সমস্যার মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছে তাঁদেরও। তাঁরাও বলছেন ট্রেনের সংখ্যা বাড়লে তবেই দূরত্ব বাড়বে।
উল্লেখ্য, করোনা দ্বিতীয়বার বাংলায় জোড়ালো কামড় বসানোর পরেই ট্রেন সহ গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু এখন সংক্রমণ কিছুটা হলেও আয়ত্তে এসেছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন না থাকায় মফস্বল থেকে আসা শ্রমিক এবং পরিচারিকাদের জীবনে ঝুলেছে অনিশ্চয়তার তালা। তাঁদের কাছে কঠিন পরিস্থিতি ক্রমশই কঠিনতর হয়ে উঠছে। সোনারপুরে ট্রেন চালুর জন্য বিক্ষোভ তারই প্রতিচ্ছবি মাত্র।
ব্যুরো রিপোর্ট