Market
অতিমারি পর্বে চা শিল্প ধাক্কা খেয়েছে আগেই। এবার চা বাগান বিক্রিতেও পড়ল সেই ধাক্কা। কারণ দার্জিলিংয়ের বেশ কিছু চা বাগান বিক্রি করার কথা উঠলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, চা বাগান কেনার মত কোন ক্রেতাই উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। ফলে বিক্রি করতে ইচ্ছুক চা বাগান মালিকদের আজ ক্রেতার আশায় শুধু অপেক্ষার পালা।
দার্জিলিং জেলার বেশ কিছু চা বাগান আজ বিক্রি হতে বসেছে। তার অন্যতম প্রধান কারণ কর্মীদের অনুপস্থিতি, সংশ্লিষ্ট এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দক্ষ ম্যানেজমেন্টের অভাব। এছাড়াও রয়েছে অতিমারিতে তৈরি হওয়া চা বাগানগুলোর দুর্দশা। যে কারণে বেশ কিছু চা বাগানের মালিকরা বাগান বিক্রি করার চেষ্টা করলেও পাচ্ছেন না ক্রেতাদের। একদিকে যেমন কমেছে উৎপাদন, অন্যদিকে তেমনই কমেছে আয়।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বর্তমানে এই এলাকায় ৮৭টি চা বাগানের মধ্যে ১০-১২টি বিক্রির জন্য পড়ে রয়েছে। কিন্তু এই ১০-১২টি চা বাগান কেনার মত ক্ষমতা বর্তমান পরিস্থিতিতে হাতে গোনা কয়েকজনের মধ্যেই রয়েছে। ফলে ক্রেতাদের দেখা পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
দার্জিলিং চায়ের বিক্রির অনেকটাই নির্ভর করে বুটিক টি শপ, টি-লাউঞ্জ, রেস্তোরাঁ, হোটেলের ওপর। অতিমারিতে সেই বিক্রিতে লেগেছে টান। তার ওপর রয়েছে লকডাউনের থাবা। ফলে ২০১৬ সালে যেখানে ৮.৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করা যেত, ২০২০ সালে তাই নেমে দাঁড়ায় ৬.৫ মিলিয়ন কেজিতে।
অন্যদিকে বেড়েছে উৎপাদনের খরচা। ফলে ক্রেতাদের মধ্যেও সংশয় তৈরি হচ্ছে চা বাগান ঘিরে। কারণ চা বাগান কেনার পর যদি তাঁদের ক্ষতির অঙ্ক গুনতে হয়, তখন একূল -ওকূল দুইই যাবে। আর ঠিক সেই কারণেই চা বাগানগুলি বিক্রির জন্য যে দাম ধার্য করা হয়েছিল তা অনেকটাই কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন ক্রেতারা।
ব্যুরো রিপোর্ট