Market

করোনা সংক্রমণের রাশ টানতে বিধিনিষেধের কড়াকড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প ক্ষুদ্র শিল্পগুলো। অত্যাবশ্যক কিছু পরিষেবা ও চা পাটের মতো শিল্প বাদে বাকি সমস্ত ক্ষেত্র একেবারে থমকে দাঁড়িয়ে।
এমতবস্থায় করোনা বিধি মেনে ছোট সংস্থাগুলোকে কারখানা খোলার অনুমোদন দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছে ওই শিল্পের সংগঠন ফেডারেশন অব স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ় (ফসমি)। সংশ্লিষ্ট শিল্পের একাংশের বক্তব্য, ছোট সংস্থাগুলি বন্ধ থাকলে ধাক্কা খাবে ইঞ্জিনিয়ারিং ও রফতানি শিল্প ক্ষেত্রগুলো। সংক্রমণে বিধিনিষেধের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর বলেন, কোনও পণ্যের বরাত দেওয়ার পরে ক্রেতার থেকে আগের বরাতের পাওনা পায় ছোট সংস্থাগুলি। এ ভাবেই ‘রোল’ করে ব্যবসা ও মূলধন। এখন কারখানা বন্ধ থাকায় নতুন বরাত দিতে না-পারায় আগের প্রাপ্য আটকে থাকছে।
ছোট সংস্থাগুলির অনুরোধ, তাদের কর্মীরা সাধারণত কারখানার কাছাকাছিই থাকেন। তাঁরা সাইকেলে পৌঁছতে পারবেন এমনকি সংস্থা তাদের আনার ব্যবস্থা করবে। কাজ হতে পারে করোনা বিধি মেনে কড়া নজরদারিতে। তাই অন্তত ৫০% কর্মী এবং ২৫% ম্যানেজমেন্টের সদস্য দিয়ে সংস্থা চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হোক। এখন সরকারি পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলি।
ব্যুরো রিপোর্ট